দুদকের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। তিনি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক তাঁর বক্তব্য আরম্ভ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের স্রোতধারায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। একুশ হচ্ছে একটি চেতনার নাম- যা গণমানুষের মুক্তির চেতনা, স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় একুশের চেতনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে না বলতে হবে, আমাদের দুর্নীতি মুক্ত থাকতে হবে, প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে হবে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানকেও দুর্নীতি মুক্ত রাখার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। সকলের প্রতি শহীদ দিবস পালনকে গতানুগতিক না করে এই চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে তা বাস্তবায়নের আহ্বান করেন। তিনি বলেন, আসুন আমরা প্রাতিষ্ঠানিক, ব্যক্তিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে একুশের চেতনাকে ধারণ করি।


বিজ্ঞাপন

দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, শুদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিকৃত উচ্চারণ আগামীর প্রজন্মকে প্রভাবিত করে বিধায় এর প্রভাব অত্যন্ত নেতিবাচক। বাংলা ভাষার ব্যবহার সার্বজনীন ভাবে কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি।

দুদক সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়ই ভাষার প্রতি বঞ্চনার বীজ বপীত হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানিরা ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য বিলোপের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের অভিপ্রায়ে ভাষার প্রতি এ আক্রমণ করে। এ দেশে জন্মগ্রহণ করে, এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে, এ দেশের ভাষায় কথা বলে কেউ সংখ্যালঘু হতে পারেনা বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়াও এ আলোচনায় দুদকের প্রতিরোধ ও গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা-এর পরিচালক মঞ্জুরুল মোরশেদ ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া-এর উপপরিচালক মো: জাকারিয়া ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে তাঁদের বক্তব্য প্রদান করেন।