মিতুরা ঠিকই বেঁচে থাকার সঠিক পথ খুঁজে পায়

অন্যান্য বিবিধ

সাবরিনা মান্নান : মিতুরা ঠিকই বেঁচে থাকার সঠিক পথ খুঁজে পায়~~~অফিসে এসেছি মাত্র, মিতুর কল~


বিজ্ঞাপন

সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের দোহাই নিয়ে যারা ক্রমাগত পাপাচারে লিপ্ত, তাদেরকে বিশেষ কি বা বলার থাকে, my view, The man who has a conscience suffers whilst acknowledging his sin. That is his great punishment.

মাএই জানলাম, মিতু’ দুই বছরের শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে, তার বাবার বাড়িতে, কখনো একবারও বলেনি শরীরে ও মনে শত শত আঘাতের চিহ্ন বয়ে নিয়ে তার পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনের করুণ কাহিনী। এবার বলতে হয়তো বাধ্য হলো যখন তার অতি প্রিয় আইন বিশেষজ্ঞ হাসবেন্ড’ তাকে চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার ভয় দেখালো, অথচ মেয়েটির কাছে তার ছোট্ট সন্তানটির জন্য সামান্য খাবার কেনার পয়সা নেই, বাস্তবতা কি এতটাই নির্মম!

ধর্মগ্রন্থ ও স্রষ্টার দোহাই দিয়ে অংগীকারনামা তৈরি করে সংসার করতে হবে কোনো নারী এমন বাধ্যবাধকতা মেনে নিয়ে ভুল ছাড়াই প্রতিটি দিন কেমন করে কাটিয়ে দিতে পারে? মানুষ মাএই ভুল হবে, ভুল হলেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে, সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে, এটা কোন ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে জানা দরকার।

একটি অসহায় নারী, ঘরছাড়া, সামনে দিগন্ত ছোয়া অন্ধকার, কোন পথে গেলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব, তা ও অজানা, সে সাহায্যের আশায়, তার অতীত জীবনের দুঃসহ সৃতি কিছুটা হলেও কাছের মানুষকে জানাবে এটাই যুক্তিযুক্ত। সেখানে যন্ত্রনার বহিঃপ্রকাশ কিছুটা এলোমেলো হতেই পারে। কাচা ঘায়ে ব্যাথার পরিমাণ বেশি থাকবেই। আমি অবাক হয়ে শুনছিলাম, “তার কোন দোষ নেই, হয়তো আমরাই সব অন্যায়” অথচ তার হাসবেন্ডের বান্ধবী ইতি মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, মিতু তার নামে বদনাম করছে বা শালীন বাক্য ব্যবহার করছে না, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাহারী মানুষের বাহারি আচরণ!

পাশাপাশি তাকে এর মঝেও শুনতে হচ্ছে চরিএের সিলসিলা কি?
আগে নিজের চরিত্রের সিলসিলা ঠিক করাটাই সকলের প্রথম কর্তব্য কি না?

নির্জলা মিথ্যাচারের মাধ্যমে অন্যের কাছে যারা চরিত্র-হননে মেতে ওঠে- তার পক্ষে চারিত্রিক মাহাত্ম্য অর্জন তো দূরের কথা, নিজের মুখোশ রক্ষা করাও তখন দুষ্কর হয়ে ওঠে।” পৃথিবীতে তাদের জন্য চিরস্থায়ী অশান্তি তো রয়েছেই, পরকালের কথা জানা নেই।
এক অগ্নিলাভা, জ্বলন্ত অংগারের তাপে তখন এইসব আগন্তুক নিমিষেই দগ্ধ হয়ে, ভস্ম হয়ে ছড়িয়ে যায় বাতাসে, সেটাও স্রষ্টারই নির্দেশে” স্রষ্টা সকলের, নিশ্চয়ই কারো একার নয়।

সর্বত্র বিরাজমান একজন যিনি আছেন, যিনি সমানভাবে মানুষের অন্তরের সব কিছুরই পুংখানুপুংখ খবর রাখেন এবং যাঁর কাছে আড়াল বলে কিছু নেই, তিনিই সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারক।” সবারই জানা।