ঐতিহাসিক ৭ মার্চ কাল জাতি শুনবে সেই ভাষণ

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ৭ মার্চের জাতীয় দিবসে সারাদেশে একযোগে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার করা হবে। এ সময় অন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতেই এটি সম্প্রচার করা হবে। শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে সময়টিতে ভাষণ দিয়েছিলেন, সারাদেশের সকল মাধ্যমে ঠিক সেই সময়ে ভাষণটি প্রচার করা হবে। সেটা ৩টা ২০ মিনিটে হবে। আমরা যতটা সম্ভব কাছাকাছি সময়ে থাকার চেষ্টা করব।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সব টিভি চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একযোগে ভাষণটি প্রচার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভাষণটি যখন প্রচার হবে, তখন শুধু ভাষণই প্রচার করা হবে, অন্য কিছু নয়।
এছাড়াও ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিল, আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজির আয়োজন করা হবে বলে জানান সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয়ভাবে উদযাপন উপলক্ষে গণপূর্ত অধিদফতর প্রতিবারের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সজ্জিত করেছে। ঢাকা শহরের সকল প্রবেশ পথে (কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, বিমানবন্দর, বাস টার্মিনাল) সজ্জিত করা হয়েছে এবং তোরণ নির্মাণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ লেখা থাকবে। এ বিষয়ে দুই মেয়রকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আতশবাজির আয়োজন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা ও উপজেলায় আলোকসজ্জাকরণ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চ লেখা সম্বলিত তোরণ নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, অর্কেস্ট্রা, ডকুড্রামা, নৃত্যনাট্য ইত্যাদি থাকবে। এ দিবস উপলক্ষে ডকুমেন্টারি তৈরি করে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শূণ্য ঝুঁকি নিশ্চিত করে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন করে দিবসটি উদযাপনের ব্যবস্থা নেবে এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হয় সেসব স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিষয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে সকল মোবাইল অপারেটরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফিন বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সময়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, আমরা সেই সময়ের কাছাকাছি সময়ে ভাষণটি প্রচারের চেষ্টা করব। ওই সময় বাংলাদেশে আর কোনো অনুষ্ঠান প্রচার হবে না। অর্থাৎ ওই সময় শুধু ভাষণটিই প্রচার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সব মহল থেকে সুপারিশ করা হয়েছে যে, ৫০ বছর আগে যে সময়ে বক্তব্যটি প্রচার হয়েছিল, সেই সময়েই যেন আমরা ভাষণটি প্রচার করি। সরকারিভাবে পিআইডির কাছে যে ভাষণটি সংরক্ষিত আছে, বিটিভি থেকে সব মাধ্যমে সেটিই সম্প্রচার হবে।


বিজ্ঞাপন