শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু

এইমাত্র জাতীয় সারাদেশ

গিনেস রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা

 

বিশেষ প্রতিবেদক : সব আয়োজন সম্পন্ন, এবার অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। শস্যক্ষেতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দখলে নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে জাতির জনকের সেই প্রতিকৃতি দেখে অভিভূত কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন পার করছে সোনালি অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, বগুড়ার এই উর্বর ভূমিতে এমনটাই জানান দিচ্ছে জাতির জনকের বিশাল অবয়ব।
এক লাখ ১৯ হাজার ৪৩০ বর্গমিটার জমিনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। চীন থেকে আনা হয়েছে বেগুনি রঙের এফ-ওয়ান জাতের ধানের চারা।
কয়েক মাসের প্রস্তুতি শেষে গত মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু হয় মাঠে। শস্যক্ষেতে একজন মানুষের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলে গিনেস রেকর্ড দখলে নেয়াই হচ্ছে লক্ষ্য।
যাদের নিবিড় পরিচর্যায় একটু একটু করে রেকর্ড দখলের দিকে বাংলাদেশ-সেই ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার বলছে, এখন অপেক্ষা শুধুই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে দেখা যায়, বাংলার জমিনে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসেন শতাধিক মানুষ। অনেকেই এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। ইতিহাসের অংশ হতে পেরে যেমন আনন্দিত স্থানীয়রা, তেমনি এই শিল্পকর্মটি দেখতে পেয়ে আনন্দিত দর্শনার্থীরাও।
বর্তমানে এই রেকর্ড রয়েছে চীনের দখলে, ২০১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ বর্গমিটার জমিনে কাউফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিল দেশটির সাংহাইয়ের লেজিদাও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
রোববার সরেজমিনে এই শস্যচিত্র পরিদর্শনে এসে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা এখন বাংলাদেশে রয়েছে। তাই সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
কৃষক ও কৃষিবিদদের পরম মমতায় ধানের চাষ করা হয়েছে বাংলার এই উর্বর জমিনে, মাত্র দুই জাতের ধানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শস্যচিত্রে একজন মানুষের এত বড় প্রতিকৃতি। এর আগে দেখেনি বিশ্ব, তাই এবার অপেক্ষা সেই ঘোষণার-লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক ক্যাটাগরিতে গিনেস রেকর্ডে জায়গা করে নিল বঙ্গবন্ধু ও তার বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এই পুরো প্রকল্পের ভাবনা, নকশা এবং বাস্তবায়ন করেছে এক্সপ্রেসিভ কমিউনিকেশনস লিমিটেড। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ।
ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার বলছে, বঙ্গবন্ধু যেহেতু কৃষকবান্ধব নেতা ছিলেন, তাই তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাকে সম্মান জানাতেই এই শিল্পকর্মটি করা।
গত ডিসেম্বরে প্রকল্পটির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।
গত ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় ১৪০ নারী শ্রমিক ধানের চারা রোপণ করেছেন। এর আগে বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ১০০ শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সদস্যরা শুকনো জমিতে প্রায় এক হাজার ২০০ খুঁটি পুঁতে প্রতিকৃতিটির লে-আউট করেন।
এই ১০০ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে সাত মাসের জন্য লিজ নেয়া হয়েছে। এই ফসল উঠে গেলে কৃষকরা আবার তাদের জমি ফেরত পাবেন।


বিজ্ঞাপন