দুর্নীতি আর অনিয়মের স্বর্গরাজ্যর মহানায়ক সুরুজ চেয়ারম্যান

অপরাধ সারাদেশ

ঝালকাঠি এলজিআরডি আটকে আছে রুহুল আমিন,

সুরুজ চেয়ারম্যান আর জিএস জাকিরের হাতে

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুহুল আমিন অন্যদিকে সুরুজ চেয়ারম্যান এবং জিএস জাকির চাঁদাবাজ চক্রের হাতে বন্দি ঝালকাঠি এলজিআরডি অফিস। ঘুষ ছাড়া চলে না কোন ফাইল। ঝালকাঠি এলজিইডি অধিনস্থ সকল দপ্তরে ঘুষ বানিজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে ৷


বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক পর্যায় কোন সাধারণ টেন্ডার সরকারি ভাবে পাস হয়ে আসার যাবতীয় খরচ সরকারের, কিন্তু কোন কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেলে ২% টাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (EXEN) রুহুল আমিনকে দিতে হয় ওয়ার্ক অর্ডার হাতে আসার পর । এর ব্যাতিক্রম হলেই ঘটে উল্টো ঘটনা। ঘুরতে হবে দিনের পর দিন এবং শেষ পর্যন্ত আপনার ওয়ার্ক অর্ডার হাতেই পাবেন না। পরবর্তীতে ১৫%-২০% টাকা দিতে হয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সুরুজকে এবং রেজাউল করিম জাকির ওরফে জিএস জাকিরকে। নুরুল আমিন সুরুজ শেখেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জি,এস জাকির ঝালকাঠি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। এমন ভারি ভারি পদবির ভারে মোটা করছেন নিজের পকেট।

১৫%-২০% টাকা EXEN রুহুল আমিন, সুরুজ চেয়ারম্যান এবং জি,এস জাকির চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে, তার অগোচরে। এবং এসব বিষয়ে কোনো মাধ্যমে মুখ খুললে বা নালিশ করলে কোন ভাবে না কোন ভাবে মামলা, হামলা, হয়রানির, হুমকি, ধমকির মাধ্যমে তার ক্ষতি করবেই সুরুজ চেয়ারম্যান ও জাকির চক্র।
যার ফলে এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্য সকল অফিসার সুরুজ চেয়ারম্যান ও জি, এস জাকিরের ভয়ে তাদের অনুগত থাকতে বাধ্য।সুরুজ জাকির চক্রের সিগ্নাল ছাড়া তারা কোনো কাগজেই সই করেন না যার কারনেও ঠিকাদাররাও বাধ্য হয়ে EXEN রুহুল আমিন ও তার সহযোগী সুরুজ চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর জি,এস জাকিরকে ১৫% -২০% প্রতি টেন্ডারে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সাথে Work order এ ২% থেকে শুরু করে বিল প্রসেসিং পর্যন্ত So,accounted ও অন্যান্য সবাই মিলে ঠিকাদারের কাছ থেকে ২০%-৩০% টাকা নিয়ে নেয় কাজ থেকে,বিশেষ করে EXEN রুহুল আমিন মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কিছুই মানে না আর যারাই দিবে না তাদের বিল হবে না কাজের সাইডে ঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে না আটকে থাকতে হবে মাসের পর মাস তারপর চাদাবাজদের হাতে নাজেহাল ও হয়রানির ভয়তেও সব ঠিকাদার চুপ তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে।এ বিষয়ে আমরা একাধিক ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছেন

“একদিকে ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে প্রতিটা ধাপে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন, তা ছাড়া ফাইল সই হয়না অন্যদিকে সুরুজ চেয়ারম্যান এবং জিএস জাকির আমাদের নেতা আমু ভাইর কথা বলে নিচ্ছে ১৫-২০% যার কাছ থেকে যা চাপ দিয়ে নিতে পারে। আমরা ঠিকাদাররা তাহলে যাবো কোথায়? ২৮%-৩০% টাকা দিতে হয় আমাদের ঘুষ এবং চাদা আমরা কাজ করবো কি দিয়ে?আর সে টাকায় মানসম্পন্ন কাজ আমরা কিভাবে করবো?
এমন মহা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন সাধারণ ঠিকাদার সহ এলাকাবাসী।