শিক্ষকতা, কবিতা ও আমি

অন্যান্য বিবিধ

সাবরিনা মান্নান : আমার মা’ ভাবছেন সবগুলো কবিতার বইয়ে সব কবিতাই আমার লেখা, মার ভাবনাকে আমি আশাহত করিনি,তার আনন্দিত মুখ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে, বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো হুলুস্থুল আয়োজন করতেন, যেমনটি করেছিলেন ইওেফাক পএিকায় আমার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হবার পর, তখন অষ্টম শ্রেণির ছাএী আমি, সেদিন সকালে বাবা হকারের আনা সব পএিকা কিনে নিয়েছিলেন। এমন অসাধারণ একজন বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা আজও এই আমি।


বিজ্ঞাপন

এ চারটি সহ মোট পাঁচটি বইয়ে আমার একটি করে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে, প্রতিটি বই, বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষকতা শুরু হঠাৎ করেই, তখন গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি, সাভারে প্রতিষ্ঠিত চাইল্ড ফেয়ার একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছিলাম,
আমার প্রথম কর্মস্থল। এরপর এন্জেলিকা
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মাস্টারমাইন্ড স্কুল এ্যন্ড কলেজ, স্কলারর্স স্কুল এ্যন্ড কলেজ,ক্যামব্রিয়ান কলেজ, আলোর ধারা স্কুল,লেকসিটি কনর্কড স্কুল, এর পর কিছুদিন এডমিন অফিসার হিসেবে কাজ করেছি দুটো রেডিও স্টেশনে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী, আবারও আমার প্রানের স্পন্দন ফিরে পেলাম, আলহামদুলিল্লাহ। বহু বছরের শিক্ষকতা পেশায় সবটুকু অভিজ্ঞতা নিয়ে বাকি জীবন কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলো, একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের বোনকে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবার পরও তাদের আচরণ ছিলো অমানবিক। আরেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধাণ শিক্ষিকা, তার আচরণ দেখে হাসি পেতো, সমস্যা ছিলো, আমি কেনো তার চেয়ে দেখতে ভালো, তিনি ছিলেন প্রচন্ড চতুর। একাডেমিক ডেভেলপমেন্টের সব কায়দা কৌশল আমার কাছ থেকে জেনে নিয়ে, নিজের ঘর আলোকিত করেছেন। হাসি মুখে আমার নামটি মুছে দিতে একটুও দ্বিধা ছিলো না তার, এমন বাস্তবতায় জীবনে বহুবার অবাক হয়েছি!!

কাজ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেই হবে এসব নিয়ে আজকাল আর কষ্ট নেই, নেই কোনো অভিযোগ।
একটি জীবনের আঠারোটি বছর,কম সময় নয়! ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়ন থাকবেই, তারপর যখন অবসরে একলা ভাবি, আমার শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে রয়েছে সারা বাংলাদেশে, অনেকের কাছে আমি শুধু শিক্ষিকা নই, তারা আমাকে অবলীলায় মা ডাকছে, এইতো একটা জীবন।
পাওয়া আর না পাওয়ার হিসেব না হয় নাই বা করলাম।