ঘাতক স্বামী ঢামেক হাসপাতলে গ্রেফতার

অপরাধ আইন ও আদালত রাজধানী

গুলশানে গৃহবধূকে বাসায় হত্যার পর

সড়ক দুর্ঘনার নাটক সাজানোর চেষ্টা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানে বাসা থেকে নিহত স্ত্রীর লাশ নিয়ে হাতিঝিলে এনে দুর্ঘটনার নাটক সাজাতে গিয়ে ধরা খেলেন ঘাতক স্বামী। নিহত স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত পুলিশ তাকে আটক করেছে।
ঢামেক হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের ধারণা নিহত গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে।
গুলশান থানা পুলিশ বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে নিশ্চিত হয়েছে যে, গৃহবধূকে বাসায় হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা চালিয়েছে। নিহতের স্বজনরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন। শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহতের স্বামী সাকিবুল আলম মিশু।
পুলিশকে জানায়, গৃহবধূর স্বামী মিশুর বাসা গুলশান-২ নম্বর সড়কের ৩৬ নম্বর রোডে। তিনি পুলিশকে জানান, তার বাসা থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বের হন।এরপর তারা হাতিরঝিল আমবাগান এলাকায় যাওয়ার পর রাস্তায় আইল্যান্ডের ওপর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে গৃহবধূর স্বামী সাকিবুল আলম ডান হাতে সামান্য আঘাত পান এবং গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ঝিলিক আলম (২৩) গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সোয়া ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে গৃহবধূর স্বামীর আচারণ রহস্যজনক মনে হওয়ায় পুলিশ তাকে জেরা করতে থাকে। এরপর পুলিশ গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি গুলশানে খোঁজ নেয়।ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাইবাছাই করে দেখে পুলিশ। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখতে পায়, গৃহবধূ ঝিলিকের হাত পা ধরে ঝুলিয়ে বাসার সিড়ি দিয়ে নামিয়ে অচেতন অবস্থায় চারজন ব্যক্তি তার গাড়িতে তুলে দেন।
অপরদিকে নিহত ঝিলিকের দেবর ফাহিম জানিয়েছেন, ঝিলিকের মৃত্যু বাসাতেই হয়েছে। তবে তার ভাই কেন দুর্ঘটনার কথা বলেছেন, তা তার জানা নেই। এরপর তার স্বামী আসিকুল আলম মিশুকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।ঝিলিকের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায়সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের জখম রয়েছে। আর নিহতের স্বজনরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
ঝিলিকের মা জানান, ঝিলিক ও মিশু ভালোবেসে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। প্রায়ই ঝিলিককে নির্যাতন করতো মিশু। এরকম অনেক মেয়েকে খুন করা হয়, কিন্তু বিচার হয় না। আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমি এই খুনের তদন্তপূর্বক বিচার চাই।


বিজ্ঞাপন