ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক জিপি সরকার শিল্পপতি!

ক্রিকেট জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা শহরে তার কি নেই? গার্মেন্ট, ওয়াসিং প্লাট, বহুতল বাড়ি, একাধিক ফ্লাট, প্লট, গাড়ি আর গ্রামের বাড়িতে প্রচুর জায়গা জমি। রাজস্ব পরিদর্শক গৌরপদ সরকার (জিপি সরকার) আজ শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ওয়াসায় আন্ডার বিল করে, মিটার টেম্পোয়ারিং ও অবৈধ সংযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অপর দিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ অংকের টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-৬ এর ভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক ও ওয়াসার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ও শিল্পপতি খ্যাত জিপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব পরিদর্শক জিপি সরকার ঢাকা ওয়াসার ৬নং জোনে কর্মরত ছিলেন। ভিভিআইপি সাইট খ্যাত ফকিরাপুল এলাকার রাজস্ব আদায় ও বিলিং –এ দীর্ঘদিন ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ৫ নং জোনে মহাখালী এলাকায় বদলী করা হয়েছে।ব্যক্তিগত একাধিক সহকারী দিয়ে সাইট পরিচালনা করেন। সাইট পরিদর্শনে তিনি কখনও যাননা। তার নিয়োগকৃত প্রধান ব্যক্তিগত সহকারী জসিম কে দিয়ে ডিউটি করান। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী ।৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তার চাকুরীর বেতনের সহিত বর্তমান যে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাহা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ঢাকার সাভারে পিপিআই’র ক্যাশিয়ার হাবিব উল্লা ভুইয়া’র সাথে যৌথভাবে গার্মেন্ট কারখানা,ওয়াসিং প্লান্ট কারখানা আছে। একাধিক ফ্লাট ও প্লট এবং বাড়ী রয়েছে। ধামরাই’র বাড়িতেও প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছেন। ভারতে বাড়ি ক্রয় ও ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন বলে জানাগেছে। ছেলে-মেয়েরা ব্যয়বহুল বেসরকারী কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে। তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। একমাস ঘুরেও এই প্রতিবেদক তাকে অফিসে পাননি।হাজিরা খাতায় একদিন এসে অনেক দিনের স্বাক্ষর করেন বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

ওয়াসা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, জিপি সরকার শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। চতুর জিপি সরকার আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও আতী¡য় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তার পরিবার ও আত্বীয় স্বজনের সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন। তার সর্বসাকুল্যে বেতন ৩৫ হাজার টাকা।অথচ তার ব্যক্তিগত সহকারির বেতন ২৫ হাজার টাকা। তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারির সম্পদ ও বিলাসী জীবন যাপন দেখে খোদ ওয়াসার কর্মকর্তরাও অবাক। গৌরপদ সরকারের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার সাধারণ কর্মচারীগণ।