সরিষাবাড়ী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

সারাদেশ

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তার এর বিরুদ্ধে নির্বাচনে মিথ্যা হলফ নামা দাখিল সহ নির্বাচনের পর শপথ ভঙ্গ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন, এলাকাবাসীর উপর ক্ষমতার দাপট প্রয়োগ সহ নানা মিথ্যা মামলা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধে ফুসে ওঠেছে এলাকাবাসী ।
অভিযোগে জানা গেছে, সরিষাবাড়ীর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলী আক্তার স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন । তার জন্ম স্থান সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নে। যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে তারাকান্দিতে আসে এবং বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। তার পিতা রফিকুল হক কয়েক বৎসর যমুনা সার কারখানা এলাকায় গাড়ী চালানোর পর তিনি নারায়ণগঞ্জ চলে গেলেও তার পরিবার তারাকান্দিতে অবস্থান করে। জেলী ৪র্থ শ্রেনীতে পডুয়া অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে প্রেম সম্পর্কে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। জেলি আক্তার ৫ম শ্রেণির গন্ডী পার করেন নাই। নির্বাচনের প্রার্থীতা হিসেবে যে হলফ নামা জমা দিয়েছেন তাহা সঠিক নয়। তিনি পোগলদিঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী পাশের যে সনদ দেখিয়েছেন তা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে খাতাপত্র যাচাই করলেই সনদটি ভূয়া বলে সত্যতা মিলবে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে জেলি আক্তারের বাড়ী ছিল মাদক সেবনকারীদের আড্ডা খানা।সেখানে বিভিন্ন মাদক বিক্রয় করা হতো পাকা সড়কের পাশে (হবির দোকানের পূর্ব পার্শ্বে)
এখনও মাদক বিক্রয় সচল রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান।এ বিষয়ে গ্রামবাসী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জামালপুর অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন । এ ছাড়াও নির্বাচনকালীনসময়ে নির্বাচনী ব্যয় বহন করিতে মোস্তফিজুর রহমান তার জেঠাত ভাই আব্দুল আজিজ এর নিকট ৪ (চার) শতাংশ ভূমি বিক্রয় করে অদ্যবধি জমির দলিল রেজিস্ট্রী ও দখল না দিয়ে নানা টালবাহানা করছেন।চরপাড়া খুইটা মারা বিলে ড্রেজার লাগাইয়া মাটি বিক্রয় করে। ফলে পার্শবর্তী অনেকের আবাদী জমি ভাঙ্গিয়া যাচ্ছে। বিলে মাছ চাষ করার পরিবেশ নষ্ট সহ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলী আক্তার প্রভাব খাটিয়ে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে দুস্থ বা অসহায়দের বঞ্চিত করে তার মা রুবি আক্তারকে একটি সরকারী ঘর বরাদ্ধ করে দেন। তিনি সরকারী প্রাপ্ত বরাদ্ধ অনিয়মের মাধ্যমে লুটপাট করিয়াছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সাথে যোগ-সাজসে প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত বিষয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
প্রকল্পগুলো হলো ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ীর দক্ষিণ পশ্চিম কোণের পাকা রাস্তা হইতে রকিবুল মাস্টারের বাড়ী পযর্ন্ত টি আর কর্মসূচীর আওতায় রাস্তা উন্নয়ন (মাটি দ্বারা) কাজ।চরপাড়া পাকা রাস্তার পাশের নতুন মসজিদের উত্তর পাশ হইতে মন্ডল বাড়ীর মসজিদের পাশ দিয়া ইন্তাজের বাড়ীর উপর দিয়া লালনদের বাড়ীর সামনে দিয়া পলিশাগামী পাকা রাস্তা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের কাজ। পোগলদিঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের কাঁচা রাস্তা হইতে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ এবং পশ্চিম পাশ দিয়া তারাকান্দি রেল-লাইন পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন না করে সিংহভাগ আত্মসাত করেছেন।
এ ছাড়াও যত্ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপকারভোগী মায়ের নিকট হইতে অর্থ গ্রহণ করছেন।বিধবা ভাতা কার্ড, বয়স্ক ভাতা কার্ড, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ ঘর নির্মাণের নামে অর্থ গ্রহণ করিয়াছেন। ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তারের ক্ষমতার ভয়ে আপাতত কেহই মুখ খুলিতে সাহস পায়না। ক্ষমতার দাপটে জেলি আক্তার ইতোমধ্যে মামলাবাজ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। তিনি অথবা তাহার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান এর অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কেহ বিরোধিতা করিলে মিথ্যা মামলা করে স্থানীয়দের হয়রানী করেন। জেলী ক্তারের হয়রানী থেকে রেহাই পায়নি তার ভাসুরের বড় ছেলে মোজাফ্ফর আলী। মোজাফ্ফর আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সহ জেলী আক্তারের পুকুর না থাকলেও পুকুরের মাছ মারার মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশী হয়রানী করায় এলাকবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। জেলী আক্তারের মিথ্যাচারের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনী বিচার দাবী করেছেন এলাকাবাসী।


বিজ্ঞাপন

ইলিয়াসের বাড়ীতে মাদকসেবন কারীদের সমাগম বৃদ্ধি এবং গ্রামের কোন কোন লোকজন মাদক সেবনকারীদের ভয়ে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় পেত। এ জন্যে গ্রামের কতিপয় যুবক মিলে মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে রমজান মাসে মাদক ব্যবসা বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করতে গেলে মোস্তাক অতর্কিত ভাবে মনি’র এর উপর হামলা করে। সাথে থাকা কতিপয় যুবকেরা এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানি করছে,এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভবিষতে যাহাতে বাধাহীন ভাবে মাদক ব্যবসায় করতে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে না পারে।

উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রার্থীতার সঙ্গে আয়কর প্রদানের যে সার্টিফিকেট প্রদান করিয়াছেন তাহা অবৈধ । তার কোন আয়কর প্রদানের হিসাব খোলা নাই এবং দিন আনে দিন খায় ও বাড়ীর পশ্চিম পাশে নিজে মহিলা হইয়া মুদীর দোকান পরিচালনা করিয়া সংসার পরিচালনা কারীর জন্য আয়কর প্রদানের ক্ষমতা অর্জনের কোন সুযোগ নেই। বার-ডিজিট করদাতা সনাক্তকরন সংখ্যা (ঊঞওঘ) ঃ- ১৫৩৪৩৫৬৭৫১৫৩/সা-১২।তিনি যে আয়কর সনদ দাখিল করেছেন তাহা ২৫/০৭/২০১৯ খিষ্টাব্দে সাক্ষরিত। ওই তারিখে বিনা জরিমানায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বৎসরের সনদ প্রদান করিবার কোন সুযোগ নাই। তাহাছাড়া আয়কর সনদে কত টাকা প্রদান করেছেন তার উল্লেখ নাই। ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ এর আয়কর সনদ প্রদানের কোন সন্ধান নাই।উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলী আক্তার সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর দাড়াইয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হইয়াছেন এবং সম্পূর্ণ দুর্নীতি’র মাধ্যমে টাকার মালিক হইয়াছেন। তাহার ব্যাংক হিসাব তদন্ত করিলেই তাহার দুর্নীতির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হইবে।