আওয়ামী লীগ গরিবের কথা ভাবে : তথ্যমন্ত্রী

এইমাত্র চট্টগ্রাম রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া ও মেহনতি মানুষের দল। গরিব মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। তাই আমাদের দল গরিব মানুষের কথা ভাবে।


বিজ্ঞাপন

শনিবার (১ মে) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে লকডাউন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাস্থ মরহুম অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করে। এদিন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, পদুয়া ও শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নের দুই হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ যখন বাংলাদেশে আঘাত হানে তখন সরকারের পক্ষ থেকে সাত কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছিল। এর বাইরে অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ দিয়েছিল।

বিএনপি ও তাদের মিত্রদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেলেও জনগণের পাশে তারা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের ঢাকা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায়, নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দেখা যায়, আর বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা যায়। অথবা ঘর থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সরকারের সমালোচনা করেন তারা। তাদেরকে সমগ্র বাংলাদেশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এখন।

তিনি আরও বলেন, আমরা কি কাজ করছি সেটাতে কোনো ভুল আছে কি-না শুধু সেটা খুঁজে বেড়ায়। তারা শুধু ভুল ধরে নিজেরা কোনো কাজ করে না, তাই তাদের নাম দিয়েছি আমি ভুল ধরা পার্টি। এই ধরনের ভুল ধরা পার্টি রাঙ্গুনিয়ায়ও আছে। তাদেরকে এখন দেখা যাচ্ছে না, ভোট আসলে দেখা যাবে। তখন তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে এতদিন কোথায় ছিল?

কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবার পূর্ব মহাদেশে আঘাত হেনেছে। ভারতের অবস্থা অত্যন্ত করুন। বাংলাদেশও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মুক্ত থাকেনি। শেখ হাসিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এই কারণে যারা প্রাত্যহিক উপার্জনের উপর নির্ভরশীল, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। সেই কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে আবারও ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। এমনকি যারা চাইতে পারে না, বলতে পারে না তাদের জন্য বিশেষ টেলিফোন নম্বর চালু করে তাদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম দফায় যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন এই রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছিল আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। দ্বিতীয় দফায় আবার লকডাউন ঘোষণা করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ দফায় এনএনকে ফাউন্ডেশন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য কিছু বরাদ্দ এসেছে, সেগুলো দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে জনগণের মাঝে বিতরণ করা হবে। সেখানেও রাঙ্গুনিয়ার ১১ হাজারের বেশি পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা নির্দেশ দিয়েছেন জনগণের পাশে থাকার জন্য। সেকারণে সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের দলের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। সেই ধান আবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।

এনএনকে ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী আবদুর রউফ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও এমরুল করিম রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও মাসুদুর রহমান, মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আবদুল মোনাফ সিকদার, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, মাস্টার আসলাম খান, আক্তার খাঁন, আক্তার কামাল প্রমুখ।