এবার ফেঁসে যাচ্ছেন হুইপপুত্র শারুন

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

চাঞ্চল্যকর বসুন্ধরা এমডির মামলার মোড় এখন ভিন্ন দিকে


বিজ্ঞাপন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশানে লক্ষ টাকায় ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে শিক্ষার্থী মনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সরকার দলীয় হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের ভাই আশিকুর রহমান।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে এ আবেদন করেন তিনি। এর আগে সকালে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
অপরদিকে মনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রক্ষা করতেই এই চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে কুমিল্লায় থানায় জিডি করেছেন। নিজের এলাকা কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় শনিবার তিনি এ সাধারণ ডায়েরি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতেই মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।
অপরদিকে রাজধানীতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে আরো দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই উন্মোচিত হবে মুনিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য। গত মঙ্গলবার গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে কুমিল্লায় মরদেহ দাফন করা হয়।
ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুনিয়াকে বিষ প্রয়োগ কিংবা ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা এমন বেশ কয়েকটি বিষয় পরীক্ষার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন ভিসেরা, ডিএনএ ও মাইক্রো বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা, যা সময় সাপেক্ষ। এ কারণেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের সূত্র ধরে গত ২৭এপ্রিল বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চায়। এ বিষয়ে শারুন গণমাধ্যমকে ওই সূত্রের ব্যাপারে কিছু না বললেও এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সূত্রটি মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না? শারুন জানিয়েছেন, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর সে ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।
মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পর পুলিশের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পরে গ্রেফতার এড়াতে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন তিনি। গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টের যে বেঞ্চের কার্যতালিকায় আনভীরের আগাম জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য ছিল, সেই বেঞ্চ ‘লকডাউন’ ও মহামারির এই পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের শুনানি করবে না বলে জানায়।
এছাড়া, চট্টগ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনায় এই শারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে ইসরাত জাহান চৌধুরী নামের একজন গৃহবধূ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তার স্বামীকে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করেন।
এদিকে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পরে। এর সূত্র ধরে শারুনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করলেন মুনিয়ার বড় ভাই।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতেই মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।
এ বিষয়ে শারুন গণমাধ্যমকে ওই সূত্রের ব্যাপারে কিছু না বললেও এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি সূত্র মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না? শারুন জানিয়েছেন, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর সে ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন। তিনি বলেছেন, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ এনে কুমিল্লায় থানায় জিডি করেছেন। নিজের এলাকা কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় শনিবার তিনি এ সাধারণ ডায়েরি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোশারাত জাহান মুনিয়া নামে যে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ ২৬এপ্রিল উদ্ধার করা হয়, তারই বোন নুসরাত এই জিডি করেন। ওই দিন লাশ উদ্ধারের পর নুসরাত জাহান তানিয়া গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলা তুলে নেওয়া এবং মীমাংসা করতে মোবাইল ফোনে হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নুসরাত। তিনি বলেন, ওই মামলা প্রত্যাহার করা জন্য আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। তাতে সাড়া না দেওয়ায় গত বুধবার থেকে কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে অনবরত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি পাচ্ছেন তিনি। তার ও তার স্বামীকে ‘গুম-খুন’ করাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬এপ্রিল গুলশান-২-এর ১২০নম্বর রোডের ১৯নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট বি-৩ থাকতেন মুনিয়া। সেখান থেকে কলেজ ছাত্রী মুনিরার লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২২, ২৩শে এপ্রিল পরপর দু’দিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন সায়েম সোবহান আনভীর। বাসাটি গত ১লা মার্চ দুই বছরের জন্য ভাড়া নেন মুনিয়া। মুনিয়ার নামে ভাড়ার চুক্তি থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানান বাড়ির মালিকের মেয়ের জামাতা ইব্রাহিমের কাছে প্রতি মাসে ভাড়া ১ লাখ ও সার্ভিস চার্জ ১১হাজারসহ ১লাখ ১১হাজার টাকা পাঠানো হতো।