চাটখিল-সোনাইমুড়ী যুবদলের কমিটি প্রত্যাখ্যান

রাজনীতি সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চাটখিল-সোনাইমুড়ী যুবদলের কমিটিতে ত্যাগি ও হামলা, মামলার শিকার নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে ১৪ বছর দলের মিটিং মিছিলে না থাকা লোকজন, বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে বোমা হামলা মামলার আসামী, মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক মামলার আসামীদেরকে দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ আছে জেলা যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে বির্তকিত দের পদায়ন করেন। এটা নিয়ে সাধারন নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং গন পদত্যাগের ঘোষনা দিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

এছাড়াও জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন উপজেলায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার কারনে ১০ বছর দল থেকে তাকে বহিষ্কার হয় এবং আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে বেগমগঞ্জ পৌরসভা এবং উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, হঠাৎ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ২৫ লাখ টাকার বিনিময় জেলা যুবদলের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেয়।

সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকে পদ বাণিজ্য করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রত্যেকটি থানা, উপজেলা, পৌরসভা দলকে দুই ভাগ গ্রুপিং-লবিং এর জন্ম দেয়, দলের ভিতরে যারা আন্দোলন সংগ্রামে মিছিল-মিটিংয়ের বিগত চৌদ্দ বছর অনুপস্থিত তাদের কাছ থেকে পদ বিক্রি করতে থাকে যার প্রকৃত প্রমাণ তার নিজ উপজেলায় যুবদল কমিটি দ্বিধাবিভক্ত করে এবং আহবায়ক কমিটি গঠনের কয়েক দিনের ভিতরে আহ্বায়ক কে বহিষ্কার করে।
এছাড়াও দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাহারো সাথে পরামর্শ না করে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে দুই জন মিলে কমিটি গঠন করে, যারা বিগত দিনে উপজেলা ও পৌর সভায় আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলনা এই কমিটিতে তাদের কে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রদান করেন।

ত্যাগীদেরকে বাদ দেন এছাড়াও ছাত্রদল এবং বিগত কমিটিতে সদস্য ছিলনা এরকম লোককে এনে সদস্য সচিব করে। আগের কমিটির সিনিয়র দেরকে, জুনিয়রদের নিচে পদ দিয়ে অপমান করে যা অসাংবিধানিক এই কারণেই দুই উপজেলা পৌরসভা যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং কমিটি প্রত্যাখ্যান করে গণপদত্যাগের ঘোষণা দেয়।