৪০হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ খারাংখালী বিওপি ২০ মে ২০২১ তারিখ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, খারাংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিআরএম-১৫ এর পশ্চিমে মাছের ঘের ও ৪নং পোস্ট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে মাছের ঘেরের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২১৪৫ ঘটিকায় বিআরএম-১৫ হতে ৭০০ গজ পশ্চিমে ৪নং পোস্ট এলাকার মাছের ঘেরের পাশ দিয়ে নাফ নদী ও বেড়ীবাঁধ পার হয়ে খারাংখালী নতুন পাড়া খালের মধ্য দিয়ে লবন মাঠ বরাবর ০৩ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে ০২ টি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারীগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী নাছরপাড়া গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ০২টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাগুলোর ভিতর হতে ১,২০,০০,০০০/-(এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা কারবারীদেরকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ২৩০০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


বিজ্ঞাপন