পদ্মাসেতুর প্রকল্পকে বানচাল করতে চেয়েছিল রোজিনা-রাহীদ চক্র

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : পদ্মাসেতুর প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ যখন স্বপ্ন দেখছিল, ঠিক তখনই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে প্রথম আলো চক্র। সরকারকে আক্রমণ করে সংবাদ প্রকাশ করতে থাকেন রোজিনা ইসলাম ও রাহীদ এজাজ জুটি। রাহীদের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সম্পর্ক অনেক পুরনো। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে পদ্মাসেতু নিয়ে বানোয়াট বিতর্কিত খবর প্রকাশ করতে থাকেন তারা। তারা চেয়েছিল বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে পদ্মাসেতুর স্বপ্নকে নস্যাৎ করতে।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা যখন এসব শুরু করেছে, তখনো একটি পয়সাও ছাড় হয়নি বিশ্বব্যাংক বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে। সুতরাং তাদের প্রোপাগান্ডা ব্যর্থ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক দাতারা পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ততোদিনে সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ফলে নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বিশ্বের বুকে মর্যাদা লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রশংসিত হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কিন্তু থেমে নেই প্রথম আলোর বিদেশি এজেন্টরা।

পদ্মাসেতু প্রকল্পকে শেষ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে মশিউর রহমানকে নিয়ে মনগড়া প্রোপাগান্ডা ছড়ায় প্রথম আলো পত্রিকা। রোজিনা-রাহীদ যৌথভাবে সংবাদ লেখেন যে, ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থ পেতে মশিউরকে যেতে হবে’। এই সংবাদে তারা আরো বলেন যে, ‘কানাডার আদালতে বাংলাদেশের দুর্নীতি প্রমাণ হবে, এটি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে সরকার’। কিন্তু বাস্তবে কানাডার আদালত জানায় যে, পদ্মাসেতু নিয়ে কোনো অর্থই ছাড় হয়নি তখন, সুতরাং দুর্নীতির প্রশ্নটাই অবান্তর।

তবে এবার নতুন করে আবারো বাংলাদেশের মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে মাঠে নামে এই চক্র। চুক্তি ভঙ্গের মাধ্যমে চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নষ্ট করে ভ্যাকসিন আমদানি বানচাল করতে চেয়েছিল তারা। এজন্য প্রথমে চীনের রাষ্ট্রদূতকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে বিব্রত করেন রাহীদ এজাজ। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-ভারত-অস্ট্রেলিয়ার জোট কোয়াডের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, বাংলাদেশকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করেন তিনি। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে ফাটল ধরানোর প্রাথমিক ধাপ ছিল এটা। সরকারের সতর্কতার কারণে সেটি ব্যর্থ হয়। এরপর মাঠে নামেন রোজিনা। সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় চুক্তি ফাঁস করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল তারা।

ভ্যাকসিনের অভাবে মানুষের লাশের সারি দীর্ঘায়িত করার বিধ্বংসী পরিকল্পনা ছিল এটি। প্রতিক্ষেত্রেই তাদের অস্ত্র ছিল নীতি বিবর্জিত অনৈতিক সাংবাদিকতা। কৌশলে সরলপ্রাণ মানুষদের লাশ ফেলে সরকারকে আক্রমণের এই মাস্টারপ্ল্যানও ব্যর্থ হয়েছে। সামনে নতুন কোন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠবে তারা?