বিমান বাহিনী প্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বৃহস্পতিবার দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।


বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস্ অপারেশন্স এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল Mr. Jean-Pierre Lacroix, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল Atul Khare ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরের শান্তিরক্ষা মিশন সম্পর্কিত সামরিক উপদেষ্টা Lieutenant General Carlos Humberto Loitey এর সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ ট্র‍ুপ্স রোটেশনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিমানের ব্যবহার, মিশনে নিয়োজিত বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষীদের সুযোগ-সুবিধা, জনবল ও সরঞ্জাম বৃদ্ধি, শান্তিরক্ষীদের কোভিড-১৯ টিকাদান, Unmanned Arial System (UAS) সংযোজন, অত্যাধুনিক সি-১৩০জে পরিবহন বিমান মোতায়েন ও নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি বিষয় সমুহ নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এর সাথে আলোচনাকালে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্বের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সফরকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী প্রধান General Charles Q. Brown, Jr., ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এর পরিচালক Ms. Heidi Grant এবং অফিস অব সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান পরিচালক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন। সাক্ষাতকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ভিশন-২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান, General Security of Military Information Agreement (GSOMIA) , Acquisition and Cross Servicing Agreements (ACSAs) এর অগ্রগতি, মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট, বাংলাদেশে এভিয়েশন ইন্ডাষ্ট্রি প্রতিষ্ঠা এবং মহাকাশ বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগসহ মহাকাশে বাংলাদেশী নভোচারী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও, বিমান বাহিনী প্রধান বাংলাদেশকে কানেক্টিভিটি হাব ও ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরে এ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক, শিক্ষা ও সামরিক বিষয়ে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এভিয়েশন কোম্পানি Lockheed Martin ও F-16 বিমানের ম্যানুফেকচারিং কারখানা পরিদর্শন করেন এবং সেখানে তিনি F-16 বিমানের সিম্যুলেটর ফ্লাইং করেন। এছাড়াও, এভিয়েশন কোম্পানি বোয়িং পরিদর্শনকালে তিনি বাংলাদেশে এভিয়েশন ইন্ডাষ্ট্রি প্রতিষ্ঠা ও এ উদ্দেশ্যে বিনিয়োগের সুবিধা সহ বিভিন্ন পেশাগত বিষয়ে আলোচনা করেন এবং F-18 বিমানের সিম্যুলেটর ফ্লাইং করেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সম্পর্কিত ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ ও দেশের জন্য এ ক্ষেত্রে আরো সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়। সর্বোপরি, এই সফরের মাধ্যমে দুটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং মহাকাশ কর্মসূচি, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান গত ১৪-০৫-২০২১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র সফরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।