নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে হোলসেল ক্লাব লি., যমুনা ফিউচার পার্ক, ক-২৪৪, কুড়িল, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। অনেক পণ্যে আমদানিকারক এর কোন স্টিকার পাওয়া যায়নি। পঁচনশীল খাদ্যদ্রব্য যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কথা তাতে ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদের লেখা ঘষামাজা করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কাঁচা মাছ ও মাংসের বক্সে আগমনের কোন তারিখ দেয়া নাই। কিচেন অংশে খোলা ডাস্টবিন রাখা যাতে ক্রস কন্টামিনেশন এর সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কাঁচা খাদ্যের সাথে জড়িত সেলসম্যানদের কারো স্বাস্থ্য সনদ নেই। রেস্টুরেন্ট পরিচালনা এর জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এছাড়া বেকারি আইটেম উৎপাদন এর জন্য বিএসটিআইয়ের কোন লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেন নাই। পেস্ট কন্ট্রোলেও ত্রুটি পাওয়া যায়! এ সকল অপরাধে হোলসেল ক্লাব লি. সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক বিনষ্ট করে দেয়া হয়। হোলসেল ক্লাব লি. সুপার শপ, সংযুক্ত বেকারি ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। হোলসেল ক্লাব লি. এর কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুল খালেক মজুমদার, মনিটরিং অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন