আক্রান্ত-মৃত্যু বেড়েছে

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন সারাদেশ স্বাস্থ্য

আরো ৩ জেলায় লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাপী তা-ব চালানো মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩১ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫১১ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৫৮ জন। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জন।
শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২১১ জন। এদিন মোট করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬০৬ জনের।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দেশে করোনায় ২২ জন মারা যান, আর শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৯২ জনের।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১১ হাজার ৬৪৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ৫০৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৯৬ লাখ ১৬ হাজার ৭১৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬২২ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭২৬ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮২১ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৩ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৯ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন এক লাখ ৯ হাজার ১৬৫ জন।
এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫২ লাখ ২০ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৯৭০ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, যুক্তরাজ্য সপ্তম, ইতালি অষ্টম, জার্মানি নবম এবং স্পেন দশম স্থানে রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম, যেখানে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৮০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
আরো ৩ জেলায় লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা : ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ বাড়ার যে শঙ্কা ছিল, সেটিই এখন সত্যি হতে যাচ্ছে। ঈদের পর আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সরকারের বিধিনিষেধ না মেনে শপিংমল ও গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ঘটনায় ঈদের পর আবারো সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। বিশেষ করে এই সংক্রমণ বাড়ছে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কারণ ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী তাদের অনেকে করোনা পজিটিভ হয়েছেন, শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া গেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির অবনতি হলে সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও খুলনা- এই তিন জেলায় লকডাউন দেওয়া হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো তিনটি জেলা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়লেই সেগুলোতে লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিজি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করার সময় সেখানে সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশের ওপরে। আর অন্য জেলাগুলোতে এখনো সংক্রমণ অনেক নিচে। এখন যদি সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে তাহলে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হবে।