কিশোরগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাংবাদিক পরিবারের ৫ জন আহত

সারাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের করমূলী গ্রামে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাংবাদিক পরিবারের মোট ০৫ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। এই ঘটনায় করমূলী গ্রামের মৃত আঃ হামিদের ছেলে জাতীয় দৈনিক পরিবর্তন সংবাদ এর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক আজকের উন্মোচন এর কিশোরগঞ্জ সদর প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের আপন চাচা মোঃ মন্জু মিয়া ১৪ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়,গত ২৬ মে (বুধবার) রাত ১০:২০ টার সময় করমূলী গ্রামের নাসির উদ্দিনের সেঝো ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের আপন চাচা মন্জু মিয়ার মুদি দোকান থেকে বাকীতে মালামাল ক্রয় করতে চাইলে মন্জু মিয়া বাকীতে মালামাল বিক্রয় করতে অপারগতা প্রকাশ করলে রিয়াদ মিয়া তার দলবলসহ মন্জু মিয়ার দোকানের সামনে আসিয়া বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রাদী দিয়া মন্জু মিয়ার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে একই গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন মুন্সির ছেলে নাসির উদ্দিনের হুকুমে একই গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া ধারালো রামদা দিয়া সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের আপন চাচা মন্জু মিয়ার ডান চোখের ভ্রুর ওপর কুব মারিয়া গুরুতর জখম করে। তখন মন্জু মিয়াকে বাঁচানোর জন্য তার বড় ছেলে সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম, মেঝো ছেলে শফিকুল ইসলাম,সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের চাচী মন্জু মিয়ার স্ত্রী লাইলু আক্তার, সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের আপন সহোদর বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম এগিয়ে গেলে একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের সেঝো ছেলে রিয়াদ মিয়া এবং মেঝো ছেলে জহিরুল ইসলাম রনি রামদা ও বটি দা দিয়া মন্জু মিয়ার বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের মাথায় কুব মারিয়া মারাত্মক গুরুতর জখম করে।তখন নাসির উদ্দিনের বড় ছেলে মেরাজুল ইসলাম এবং একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল ইসলাম রামদা ও লোহার শাবল দিয়া মন্জু মিয়ার মেঝো ছেলে শফিকুল ইসলামের মাথায় এবং পিঠে কুব মারিয়া মারাত্মক গুরুতর জখম করে।একপর্যায়ে একই গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে খোকন মিয়া,মৃত ছমির উদ্দিন মুন্সির ছেলে নিজাম উদ্দিন,নাসির উদ্দিনের ছেলে হৃদয় মিয়া,মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন,বাবু মিয়ার স্ত্রী হাফসা আক্তার,নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা আক্তার,নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা আক্তার,মহি উদ্দিনের স্ত্রী আসমা আক্তারগণ লোহার রড,লোহার পাইপ,ক্রিকেট ব্যাট,বাঁশের লাঠি দিয়ে মন্জু মিয়ার স্ত্রী লাইলু আক্তার এবং তার ভাতিজা সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের সহোদর বড় ভাই আশরাফুল ইসলামকে বেদরক ভাবে শারা শরীরে বাইরাইয়া মারাত্মক ভাবে বেদনাদায়ক জখম করে এবং লাইলু আক্তারের কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি করে।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মন্জু মিয়া,জহিরুল ইসলাম এবং শফিকুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাদের তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং অপর দুইজনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে কিশোগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ১৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান এবং মহাসচিব সুমন সরদার সহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা প্রশাসনের নিকট দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন।