নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিরোধী অভিযান

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সোমবার ভেজাল বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এর নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী এলাকায় অবস্থিত তিন তারকা হোটেল ৭১ (Hotel71) এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এ সময় হোটেল ৭১ এর কিচেন ও স্টোর রুমে লেবেল বিহীন প্যাকেটকৃত দই, কোল্ড স্টোরে একই সাথে কাঁচা মাংস ও দুধ , লেবেল বিহীন এবং আমদানিকারকের তথ্যবিহীন বেশ কিছু খাদ্য দ্রব্য রাখার দায়ে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, ২,০০০০০/- (দুই লক্ষ টাকা)অর্থদন্ড প্রদান ও তাৎক্ষনিক আদায় করা হয়। এসময় খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও লিফলেট প্রদান করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন , বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া, মনিটরিং অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আসলাম ভূইয়া ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এর একটি চৌকস টীমসহ অন্যান্য সহকর্মী। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ভেজাল বিরোধী এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

এ দিকে অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য সনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহমদ সালমান সিরাজী ও ঢাকা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার তাহমিনা তিথি রাজধানী ঢাকার তোপখানা রোড হাইস্কুল মার্কেট ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে অভিযান চালিয়ে খোলা হলুদ, মরিচ গুঁড়া, বেসন ও গুড়ের নমুনা “খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ প্রবিধানমালা ২০১৭” অনুসরণ করে পরীক্ষাগারে পরীক্ষণের জন্য সংগ্রহ করেন।

অন্যদিকে সোমবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে পিক এন্ড পে সুপার শপ, অনন্যা মার্কেট, ডিওএইচএস, বারিধারা, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বা মেয়াদ অস্পষ্ট কিছু খাবার পাওয়া যায়। অনেক পণ্যে আমদানিকারক এর কোন স্টিকার পাওয়া যায়নি। এছাড়া কাঁচা খাদ্যের সাথে জড়িত সেলসম্যানদের কারো স্বাস্থ্য সনদ নেই। এছাড়া ডাল, মসলা ও চাল জাতীয় বেশ কিছু খাদ্য মোড়কীকরণে যথাবিধি মানা হয় নি। এ সকল অপরাধে পিক এন্ড পে সুপারশপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক বিনষ্ট করে দেয়া হয়। পিক এন্ড পে সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। পিক এন্ড পে সুপার শপ এর কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। অভিযানকালে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহাইমিনা শারমিন, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুল খালেক মজুমদার এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।