আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : ১৯৪৭ সাল। ভারতবর্ষ ভাগ হলো। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের কিছুদিন আগে থেকেই ভবিষ্যত করণীয় প্রসঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করতে থাকেন সেখানে অধ্যয়নরত বাঙালি তথা পূর্ববাংলার প্রতিষ্ঠিত ছাত্রনেতারা। দেশ ভাগের পরপরই ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন তাদের একটা বড় অংশ। আরেকটা অংশ কলকাতার সিরাজউদ্দৌলা হোটেলে বৈঠক করে দেশে ফেরেন। প্রতিষ্ঠিত ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান ততদিনে ঢাকায় এসে নতুন একটি যুব-সংগঠন করার পেছনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যার ফলশ্রুতিতে ৭ সেপ্টেম্বর (১৯৪৭) গণতান্ত্রিক যুবলীগ নামের একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নতুন দেশে উগ্র বাম বা উগ্র ডান উভয় পন্থা পরিহার করে, একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু শুরুতেই এটি কোন্দলের মধ্যে পড়ায়, ছাত্রদের নিয়ে নতুন ও গতিশীল সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নেন শেখ মুজিবুর রহমান। যার ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ছাত্রলীগ। তরুণদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে, নিজে যুক্ত হন আওয়ামী লীগে। তারপর নিরলস ছুটতে থাকেন দেশের প্রতিটি জেলার পথে-প্রান্তরে, গণমানুষের কাছে। দ্রুতই তিনি দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশ অভিমুখে প্রচণ্ড যাত্রাকালে দলের দিকনির্ধারণী ব্যক্তি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করতে থাকেন তিনি।