রাজার বাজপাখি

সাহিত্য

সাবরীনা মান্নান : এক রাজার একটি বাজ পাখি ছিল । রাজা যখন রাজসভা করতেন বাজপাখি রাজার সিংহাসনের পাশে বসে থাকতো। হঠাৎ একদিন বাজপাখিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,


বিজ্ঞাপন

পাখির শোকে রাজার পাগলের মত অবস্থা। রাজার নির্দেশ যেখান থেকে পারো, বাজপাখি টিকে খুঁজে আনতে হবে। এদিকে এক রাতে ঝড়ের সময় বাজপাখি এক বুড়ির কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নেয়, বুড়ি বাজ পাখিকে দেখে বলে, তোমার নখ ও পালক কত বড় হয়ে গেছে! বুড়ি পাখির নখও ডানা কেটে দেয়। এক সময় অনেকদিন খোঁজার পর বাজ পাখির সন্ধান পাওয়া যায় । রাজা তার দলবল নিয়ে বুড়ির বাড়িতে আসে দেখে তার শাহি বাজপাখি ধুলায় বালিতে অনাহারে বুড়ির কুঁড়ে ঘরে পড়ে আছে।

তার সখের পাখির এদৃশ্য দেখে নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। শোক সংবরণ করে রাজা বলল, যে পাখি রাজার শাহি মহল ছেড়ে বুড়ির কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নেয় তার পরিণতি এমন হয়।

(বাদশা মানে সৃষ্টিকর্তা বাজপাখি হচ্ছে মানব রূহ বা মানব আত্মা বুড়ি হচ্ছে এ দুনিয়া আমাদের নফস এবং শয়তান )

বাদশাহ এর রাগ দেখে পাখি বলে, যদিও আমি বুড়ির ঘরে আশ্রয় নিয়ে ভূল করেছি, আমার শত অপরাধ ও থাকতে পারে, কিন্তু আপনার একবার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি সমস্ত অপরাধের সমাধান এনে দেবে।

সারমর্ম হচ্ছে, সঠিক তওবা,ভাল কাজের সংকল্প, গভীর প্রার্থনা হয়ত সমস্যার সমাধান এনে দিতেও পারে।

আমরা গম জমা করছি কিন্তু আমাদের খাদ্যশস্যের গোলা পূর্ণ হচ্ছে না ।কারন ইঁদুর গম চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে । তাই আগে ইঁদুর এর দুষ্কর্ম দমন করে তারপর গম জমা করতে হবে। ইঁদুর মানে নফস আগে নফস এর জ্ঞান দুষ্কর্ম জেনে তাকে দমন করা তারপর আমল করা প্রয়োজন

নিজেকে কেন নফস এর কারাগারে বন্দি করে রাখবো, যখন এর দরজা জানালা সব খোলা।