উচ্ছ্বাসের মাঝেও চিন্তা সামনে বড় লড়াই

জাতীয় জীবন-যাপন শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা ছিল বুধবার সকাল থেকেই। কখন তারা পাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। দুপুর ১টার দিকে মিলল সেই ফল, শেষ হলো উৎকণ্ঠা।


বিজ্ঞাপন

অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদেরও মাঝে দেখা মিলল উচ্ছ্বাস। কলেজ প্রাঙ্গণেই নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন তারা।

তবে জিপিএ ৫ এর চেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো জায়গায় ভর্তি হওয়ায়ই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলছেন শিক্ষকরা।

এ জন্য শিক্ষার্থীরা বলছেন, সামনের ভর্তি যুদ্ধজয় করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মহিমা আলম লোপা বলেন, মা-বাবা শিক্ষক সবার সহযোগিতায় কাঙ্ক্ষিত ফল এ-প্লাস পেয়েছি। আমার কষ্টের ফল পেয়েছি।

মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা তার। জানালেন, এখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে। এটা নিয়েই তার বড় চিন্তা।

এই ছাত্রীর মা বলেন, আনন্দের ভাষা নেই। আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করেছে। তার প্রতিদান সে পেয়েছে। মেয়ের ইচ্ছা ডাক্তার হবে।

ফলাফল সম্পর্কে মতিঝিল আইডিয়ালে স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, আমাদের ছাত্রীরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে। এবারও ভালো করেছে। তাদের সাফল্যেই আমরা সন্তুষ্ট।

তবে জিপিএ-৫ এর চেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো জায়গায় ভর্তি হওয়ায়ই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ- সেখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী একসঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। এ জন্য কারও নির্ভর না হয়ে সব পাঠ্য বই পড়তে হবে।

মানবিক বিভাগের তাসফিয়া তাজিন জানান, জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি খুবই খুশি, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তিনি বলেন, এখন ভালো জায়গায় ভর্তির পালা। প্রধান চয়েজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে বুধবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এবার উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ১০ বিভাগে পাসের গড় হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন। গতবার পেয়েছিলেন ২৯ হাজার ২৬২ জন। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ১৮ হাজার ৩২৪ জন।

গত ১ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মে। এরপর ১২ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২১ মে শেষ হয়। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৫। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০।

এ ছাড়া মাদরাসার আলিমে ৮৮ হাজার ৪৫১ এবং কারিগরিতে এইচএসসি (বিএম) ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *