নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে উচ্ছাস নেই ভোটারের মাঝে

সারাদেশ

সুমন হোসেন, অভয়নগর (যশোর) থেকে : আসন্ন নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচন ২০ সেপ্টেম্বর। করোনা মহামারির কারনে বিগত দুই দফায় নির্বাচন স্থাগিত হয়। তৃতীয় দফায় তফসিল ঘোষণা হলেও নির্বাচন নিয়ে আগের মতো আগ্রহ-উদ্দিপনা নেই ভোটারদের মাঝে।
প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা মহামারি বৃদ্ধির কারনে স্থাগিত হওয়া নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো উদ্দিপনা নেই। চোখে পড়ার মতো নেই কোনো প্রচারনা। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের কর্মী-সমার্থক ছাড়া সাধারন ভোটারদের মধ্যে কোনো উচ্ছার্স নেই বললেই চলে।
মেয়র পদে তিন জনের প্রতিদ্বন্দিতা থাকলেও একজনকে মাঠে বেশি দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সুশান্ত কুমার দাশ শান্ত একাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বাকি দুই জন প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী শাসনতন্ত্রের হাতপাখা প্রতিক নিয়ে মো. মহসিন আলী এবং জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিক নিয়ে মো. আলমগীর ফারাজীকে মাঠে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচণে ৯টি ওয়ার্ডে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১ জন এবং সাধারন কাউন্সিলর পদে ৫৫ জন প্রার্থি প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে এ বছর নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা কৌতুহল বিরাজ করছে।
নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি খটছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত। দলীয় অধিকাংশ নেতাকে ভোটের লড়াইয়ে হারিয়ে নৌকার টিকিট তিনিউ পান। এরপর থেকে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করেন।
মেয়র প্রার্থী সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়অমী লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিগত ৫ বছর নওয়াপাড়া পৌরসভায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে নৌকারই জয় হবে কোনো সন্দেহ নেই। পৌর নির্বাচনে বিএনপি সহ জামায়াত ও অন্যান্য শরিক দল থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় জাতীয় পার্টি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন বলে শঙ্কা তার।
দল দুইটির নেতা কর্মীরা আশা করছেন, পরিবেশ ভালো থাকলে বিএনপি’র ভোট তাদের বাকসে পড়বে। তবে এই নির্বাচনে নীরব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইসলামী শাসনতন্ত্রের মো. মহসিন আলী। তিনি বলেন, ভোটারেরা চায় সুযোগ্য প্রার্থী। তাই যেসব ভোটার নীরব রয়েছেন, তারা আমার পক্ষেই ভোট দেবেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলমগীর ফারাজী বলেন, এবার নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারেরা পরিবর্তন চান। সবকিছু ঠিক থাকলে জয় পাবো নিশ্চিত।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, করোনার কারনে দুই বার নির্বাচন স্থাগিত হয়। তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।


বিজ্ঞাপন