নিরাপদ নয় আমেরিকাও!

অন্যান্য অপরাধ আন্তর্জাতিক এইমাত্র

আজকের দেশ ডেস্ক : পর পর বন্দুকধারীদের হামলায় ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠল আমেরিকা। শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশটির দুই অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ২৯ জন।


বিজ্ঞাপন

শনিবার প্রথম হামলা হয় টেক্সাসে। বেলা ১১টার দিকে; যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইল দূরে এল পাসোর সিয়েলো ভিস্তা শপিং মলে ওয়ালমার্টের দোকানে।

হামলাকারী ২১ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ যুবক এল পাসোর ৬৫০ মাইল পূর্বের শহর অ্যালেনের বাসিন্দা। হামলার আগের একটি ভিডিওতে ওই যুবককে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ওয়ালমার্টের ওই শপিং মলে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এল পাসোর টেলিভিশন কেটিএসএম। ঢোকার সময় ওই যুবকের চোখে ছিল চশমা, কানে হেডফোন, পরনে ছিল খাকি রঙের প্যান্ট, গাঢ় রঙের টি-শার্ট।

ব্যস্ত সময়ে ওয়াল মার্টের ওই বিপণিবিতানে শ্বেতাঙ্গ যুবকের গুলিতে ২০ জনের মৃত্যুর সঙ্গে দুই ডজনের মত মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টেক্সাসের দোকানে হামলার ১৩ ঘণ্টার মাথায় স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের অরেগনের ডেটনে একটি পানশালার বাইরে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখানে এক বন্দুকধারীর গুলতে নিহত হয় নয়জন, আহত ১৬।

ডেটনের ই-ফিফথ স্ট্রিটে নেড পেপারস নামের একটি পানশালার বাইরে রাস্তায় বেশ কয়েকটি গুলির শব্দের পর আতঙ্কিত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা গেছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আসা কয়েকটি ভিডিওতে। হতাহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতেও দেখা গেছে।

ঘটনার পরপরই ডেটনের পুলিশ এক টুইটার বার্তায় লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। এদিনের এ ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লাগাতার বন্দুকধারীদের হামলা ও হতাহতের খবরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দেশটির বাসিন্দারা। কিন্তু কী কারণে এ ঘটনা? লাগাতার কেন ঘটে চলেছে বন্দুকধারীদের দাপট? এমন নানা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনকে।

অনেক গবেষক মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা অনেকটা ছোঁয়াচে রোগের মতো। একটা ঘটনার পর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটার আশ্কা বেড়ে যায়। এই সংক্রমণ বা ‘ইনফেকশন’ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় প্রায় ১৩ দিন। আর এই ছোঁয়াচের প্রকোপ যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি। কারণ, অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় দেশটিতে বন্দুকের সহজলভ্যতা বেশি। পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের সংখ্যা বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ২৭ থেকে ৩১ কোটি বন্দুকের সরবরাহ আছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩২ কোটি। অর্থাৎ প্রায় প্রত্যেকেই একটি বন্দুক রাখতে পারে। গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, প্রতি এক-তৃতীয়াংশ পরিবারে অন্তত একজন বন্দুক বহন করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *