স্বরূপকাঠীতে গ্রেফতার ২ ইয়াবাকারবারী

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জীবন-যাপন সারাদেশ

ওসির সফলতা

পিরোজপুর প্রতিনিধি : মাদক নিয়ন্ত্রণে আবারও সফলতা নেছারাবাদ থানার ওসি তারিকুল ইসলামের। গত ছয় মাসের সফলতার উচ্চ শিখরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম নিজেকে মেলে ধরেছেন নিজ দক্ষতায়। মাদক নিয়ন্ত্রণে ও ন্যায়ের পক্ষে চির আপোষহীন অফিসার। অন্যায়ের পক্ষে কোন আপোষ নয়। আর এ নীতি নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে তুলে ধরেছেন আপন মহিমায়। সাহসী উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে নেছারাবাদের বাঘা বাঘা মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। গত বুধবার স্বরূপকাঠি পৌরসভার জগৎপট্টি এলাকার ত্রাস ও পেশাধারী মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা হিমেল ও তার সহযোগী ইমনকে প্রায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। বর্তমানে শুধু হিমেলই নয় ফুয়াদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তিনি। যদিও জগন্নাথকাঠীর বরডি আলমের ছেলে শেখ নাসির ফেনসিডিল বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে না পারলেও বানারীপাড়া থানায় গ্রেফতার হয়।
এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, হিমেল বেয়াদপ এক কিশোর রংবাজ। নারী ঘটিত ঘটনাসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত হিমেল। বিগত সময়ে আপন মামা ভাগ্নের কুকৃত্তির কথা সকলে অবগত। এক নারীর সাথে উভয়ের দৈহিক মিলনে বাচ্চা স্থাপন করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শতভাগ সত্যতা হলেও বিশেষ কারণে চুপশে যায়। কিন্তু এবার আর রক্ষা হলো না সাহসী ওসির সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার কারণে। বর্তমান ওসি আসার পর নেছারাবাদে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা রয়েছে মহাবিপাকে। মাদক নির্মূল করতে সদা জাগ্রত ওসি তারিকুল ইসলাম। গত কয়েক মাস হতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে। বিগত সময়ে সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের নামকরা মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী ডি কে পলাশসহ বলদিয়া ইউনিয়নের আল আমিনকে শতাধিক পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ইয়াবা বিক্রেতা মাদকসম্রাট জাহিদকে গ্রেফতার করেন ওসির নির্দেশনায়। মাদকের বিরুদ্বে সাঁড়াশী অভিযান ভালো ভাবেই চলছে নেছারাবাদে। মাদক আইনে মামলা হয়। এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ উপর মহলের বিশেষ নজরে রয়েছে। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলে আমি বরাবরই নীতি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। কর্মস্থলে আমি আমার আদর্শ নিয়ে পথ চলি। এখানে আসার পর উপলব্ধি করলাম মাদক বিক্রেতার ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্রাত্রিরিক্ত রয়েছে। আমার চিন্তা ভাবনায় একটাই মাথায় কাজ করেছে। আমি আমার দায়িত্ব থাকা কালীন সময়ে উপজেলার সকল এলাকায় মাদক মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। আর সে-ই চিন্তা ভাবনা নিয়ে থানায় কাজ করে যাচ্ছি। আসলে সকলের সহযোগিতার দরকার ক্রাইমসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে। আমি আমার দায়িত্ব থাকা কালীন সময়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব। আমার মিশন ও ভিশন হল নেছারাবাদ উপজেলা হবে মাদকমুক্ত। আদর্শ রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, বর্তমানে আমার থানার বেশ কিছু সাহসী অফিসার অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পাশাপাশি মিডিয়ারও দারুণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকার সচেতন মহল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দোষে গুনে আমরা সকলেই। তবে এটা সত্য বর্তমান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলামের বদৌলতে আমরা শান্তিতে বসবাস করছি। হিমেলের মত মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। মাদক আইনে মামলা হয়েছে হিমেল ও ইমনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে মাদক মুক্ত করার জন্য জীবন বাজি রেখে ওসিসহ থানার সবাই।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *