আজকের দিনটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে

এইমাত্র জাতীয় বিনোদন বিবিধ রাজধানী

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনে যাকে গানের পাখি হিসেবে চেনেন সবাই তিনি সাবিনা ইয়াসমিন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরণ করছেন বাংলা গানের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেননি।


বিজ্ঞাপন

গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়তো তিনি নিজেও দিতে পারবেন না। তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের ও মান্না দের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার।

আজ এই কিংবদন্তির জন্মদিন। জন্মদিনকে ঘিরে গতকাল রাত থেকেই সারাদেশের মানুষসহ অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। আজ তার জন্মদিনটি কাটছে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে। জন্মদিনে জনপ্রিয় এ শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন চ্যানেল বিশেষ পর্ব প্রচার করছে। ৬৫ বছরে পা রাখা এই গুণী এই শিল্পীর জন্মদিনকে বিশেষ ভাবে পালনের উদ্যোগ নিয়েছে চ্যানেল আই।

আজ দুপুরে চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তারকা কথন’-এর বিশেষ পর্বে অংশ নেন সাবিনা ইয়াসমিন। অনন্যা রুমার প্রযোজনায় এই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এবারের জন্মদিনটা আমার কাছে খুবই অন্যরকম। কারণ এবারের জন্মদিনটিতে আমি চ্যানেল আইতে এসেছি, যেখানে আমার জন্মদিনে ‘ক্ষুদে গানরাজ’ ও ‘সেরাকন্ঠ’ এর প্রতিযোগীরা রয়েছে। তারা আমাকে জন্মদিন নিয়ে নানা প্রশ্ন করছে, যা আগে কখনোই হয়নি। মূলত একারণেই এবারের জন্মদিনটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জন্মদিনের নানা প্রসঙ্গের আলাপকালের এক মুহুর্তে আফজাল হোসেন সাবিনা ইয়াসমিনকে প্রশ্ন করেন, যদি কোনো দিন তিনি কোন গানের জন্য সুর করেন, তবে সেই সুর করা গানটি কাকে দিয়ে গাওয়াতে চাইবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি যদি কোনো দিন কোনো গানের সুর করি তাহলে সেই গানটি রুনা লায়লার কন্ঠেই গাওয়াতে চাইবো।

১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্ন প্রকাশ করেন। তবে ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে প্রথম গান করেন তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট’ও লাভ করেছেন।

সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। বাংলা সিনেমায় প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসাবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। সেরা নারী প্লে-ব্যাক গায়কের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৩ বার পেয়ে তিনি রেকর্ড করেছেন। এছাড়া চলচ্চিত্রের জন্য ১,৫০০ টিরও বেশি গান রেকর্ড হয়েছে তার এবং এ যাবত সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে ১০ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড হয়েছে।

সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিনে শুধু বিশেষ ‘তারকা কথন’ নয়, এদিন দিনভর প্রচার হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন ‘সেরাকণ্ঠ’ শিল্পী ঝিলিক। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ‘এবং সিনেমার গান’-এ প্রচারিত হয় সাবিনা ইয়াসমিনের কালজয়ী কিছু গান নিয়ে বিশেষ পর্ব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *