‘বাংলাদেশের সরকার পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধের ধারায়’

জাতীয় জীবন-যাপন রংপুর সারাদেশ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে আর কেউ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হয়ে আসছে। কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি তা বিনষ্ট করতে পারবে না। ধর্মকে ব্যবহার করে এদেশে আর কেউ কোনো দিন রাজনীতি করতে পারবে না। এদেশ পরিচালিত হবে ধর্ম নিরপেক্ষভাবে।


বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, দিনাজুরের বিরল উপজেলার ৯৪টি পূজামণ্ডপে সরকারি অনুদানের অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এবারে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে। প্রতিবারে দেবী দুর্গা আসেন সমাজের সকল অনিষ্ট ও দুর্গতি বিনাশের জন্য। এবারে দুর্গা দেবী আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী সকল কার্যকলাপ মুছে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একই রকম শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। এদেশে এখন ৫ লাখ কোটির ওপরে নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের দরবারে সকল ক্ষেত্রে মডেল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী উৎসবকে যেন ভণ্ডুল করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন।

অন্যান্য বারের মত এবারো শারদীয় দুর্গোৎসব আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর দুর্গোৎসব শুরু আগেই বাংলাদেশে সামগ্রিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব কিছুতেই একটা পরির্বতন লক্ষ্য করছি। দুর্গোৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল দুষ্টের দমন করেন যিনি তিনিই হলেন দুর্গা। আনাচার ও অশুভ কাজের সাথে যারা যুক্ত ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাড়াশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। পাপ, অনাচার ও অন্যায় সমাজ থেকে দূরীভূত করার জন্যই মা দুর্গা আর্বিভাব হয়েছিলো। বাংলাদেশে যে সাড়শি অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অন্যান্য উচ্চতায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক বড় বড় অর্জন করে ফেলেছে। বাংলাদেশে এর আগে কোনো আইনের শাসন ছিলো না। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সমায়িক জান্তা সাংবিধান রক্ষা করতে পারেনি। সাংবিধানের ধারাবাহিকতা ছিল না। আমরা সাংবিধানের ধারাবাহিকতা এখন প্রতিষ্ঠানিকভাবে রুপ দিয়েছি। সাংবিধানের আলোকে আমরা দুটি জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। যারা এক সময় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলিকে চ্যালেঞ্জ করত, সংসদ, আইন আদালত, নির্বাচন কোনো কিছু তোয়াক্কা করতো না। সেই সকল বিশৃঙ্খলাকারীকে এখন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। স্ব অবস্থানের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বিরল উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ.বি.এম রওশন করীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিরল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম, আব্দুল লতিফ, বিরল পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রুমাকান্ত রায় প্রমুখ।

প্রধান অতিথি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিরল পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের মোট ৯৪টি পূজা মন্ডপে নগদ ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং প্রতিটি পুজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দতিও শাড়ি উপহার সমগ্রিক হাতে তুলে দেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *