‘দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে’

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে, সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। এক জায়গার পণ্য সহজেই অন্য জায়গায় নেয়া যায়। এ সুযোগ আপনারা কাজে লাগালে দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হবে। সমবায় ব্যাংক একসময় মুখথুবড়ে পড়েছিলো। এটাকে আবার সচল করা হচ্ছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। ৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই। আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে দেশের প্রতিটি মানুষকে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৮তম সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবায়ের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সমবায়ের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে যাতে বিক্রি করা যায় সে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো। এ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করতে পারলে গ্রামের কৃষক লাভবান হবেন। তিনি বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে দেশ কাজ করে বাংলাদেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাড়ি আমার খামার এই সমবায়ের যারা সদস্য তারা এক হয়ে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করবেন। এতে করে আপনারা লাভবান হবেন। বাড়ির আশপাশে একটি ফাঁকা জায়গা যেন পড়ে না থাকে। খালি জায়গায় তরি-তরকারি, ফলফলাদিও গাছ লাগাবেন। হাঁস-মুরগি পালন করবেন। নিজেরা খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন আবার বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এ মাধ্যমে আপনাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসবে।

শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণার মাধ্যমে এখন উন্নত খাদ্য, তরি-তরকারি ও ফলফলাদি আবিষ্কার করা হয়েছে। সমবায়ের ভিত্তিতে এগুলো চাষ করে আপনারা লাভবান হতে পারেন। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমবায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রসেজিং করে বাজারজাতকরণ করতে পারবে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল হিসেবেও পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে।

কৃষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদ করেন। আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করছি। খণ্ড খণ্ড জমি না রেখে জমির আল তুলে দিয়ে চাষাবাদ করলে অধিক ফসল ফলাতে পারবেন। এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আশ্রয়ন প্রকল্পে যারা বসবাস করবেন তারাও সমবায়ের সদস্য হবেন। সমবায়ের সদস্য হলে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধামে পুনর্বাসন করা হবে। ইচ্ছে করলেই তারা যেন বাড়ি-ঘর বিক্রি করতে না পারে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিবন্ধক আমিনুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি খোন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *