সাড়ে ৮ হাজার বন্দির বিপরীতে ১ চিকিৎসক!

অন্যান্য অপরাধ এইমাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : সারাদেশে কারাগারগুলোতে ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন বন্দি রয়েছে। আর এই সব বন্দিদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক পদ রয়েছে মাত্র ১৪১টি।তবে এই ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১০জন। গড় হিসাব করলে চিকিৎসক প্রতি বন্দির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬৯৯জন। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হলেও যোগদান করেছেন মাত্র ৪জন। বাকি ১৬জন এখনও যোগদান করেননি বলে আদালতকে জানিয়েছেন কারাকর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাকি ১৬জন চিকিৎসক কেন যোগদান করেননি সে বিষয়ে ১১ নভেম্বর জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন জানান, সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১০ জন। অপরদিকে কারাগারগুলোতে মোট ৪০ হাজার ৬৬৪ জন ধারণ সংখ্যার বিপরীতে বন্দি রয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন (২৭ আগস্ট পর্যন্ত)।
তিনি আরও জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারা চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১০ জন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই। এদিকে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪ জন যোগদান করে। বাকি ১৬ জন এখনও যোগদান করেননি।
১১ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন বলে জানান আবেদনকারীর আইনজীবী জে আর খান রবিন। কারাগারে চিকিৎসক সংকট নিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন এ আইনজীবী।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
রুলে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শক জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *