‘বুলবুল’ আতঙ্ক

অন্যান্য এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন বরিশাল সারাদেশ

* রূপ নিয়েছে তীব্র সাইক্লোনে

* জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
* ২২ মন্ত্রলণালয়ের ছুটি বাতিল
* বিপাকে সেন্টমার্টিন দেড় হাজার পর্যটক
* প্রলয়ঙ্কারী হয় নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়

 

মহসীন আহমেদ স্বপন : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি কাল শনিবার মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।
তিনি জানান, তীব্র সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে বুলবুল। সুন্দরবনের হিরণপয়েন্ট দিয়ে আঘাত হানতে পারে এটি। এর প্রভাবে ৭ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে। বুলবুলের ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হচ্ছে। এই হুঁশিয়ারি সংকেত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৬৯ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় বিরাজ করছে মেঘলা আবহাওয়া, কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ির বৃষ্টিও হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর ও জেটিতে দুপুর পর্যন্ত পণ্য খোলাস কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও সংকেত বাড়লে নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে ধারাবাহিকভাবে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেওয়া হয়। বুলবুল নামটি নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মোটামুটি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ ঝড় শক্তি সঞ্চয় করতে থাকবে।
এরপর সামান্য বাঁক নিয়ে উত্তরমুখী হয়ে এগোবে শনিবার সকাল পর্যন্ত। তারপর আরও বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার প্রথম প্রহরে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ আর বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে সুন্দরবন অঞ্চল হয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা গতিবেগ হতে পারে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বুলেটিনেও মোটামুটি একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে আটকা দেড় হাজার পর্যটক : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছেন দেড় হাজার পর্যটক। শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক হাজারের বেশি পর্যটক টেকনাফে এসেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে না যেতে পারেননি।
এদিকে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। এ কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসক। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পড়া পর্যটকেরা নিরাপদে রয়েছে। এই রুটে তিনটি জাহাজ চলাচল করে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আড়াই হাজারের মতো পযর্টক সেন্টমার্টিন বেড়াতে যায়। প্রায় এক হাজারের মতো পর্যটক রাতে দ্বীপে অবস্থান করে। এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও ৫ শতাধিক পযর্টক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পযর্টকেরা এসে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ভিড় করছিলেন। তবে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় এক হাজারের বেশি পর্যটক কক্সবাজারে চলে যান। অনেকে টেকনাফের হোটেলে অবস্থান করছেন।
টেকনাফের মিলকী রির্সোটের ম্যানেজার কমল দাস জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক পর্যটক তার হোটেলে রুমের জন্য ভিড় করছেন। অনেকে রুম দিতে পারেননি। অন্যসব হোটেল-মোটেলেরও একই অবস্থা। ভ্রমণে এসে সেন্টমার্টিনে টেকনাফে আটকা পড়া একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ফারহানা রহমান বলেন, পরিবার নিয়ে দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছি। শুধু আমি নয়, বেড়াতে এসে অনেকেই আটকা পড়েছেন। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এজন্য ট্রলারও ছেড়ে যেতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ দ্বীপে যায়নি। দ্বীপে বেড়াতে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। দ্বীপে আটকা পড়া আবদুল মুহিত নামে এক ব্যবসায়ী জানান, সাগর উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ার জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তার সঙ্গে ভ্রমণে আসা প্রায় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। তবে টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় কেউ কেউ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। দ্বীপের নীলদিগন্ত নামের হোটেলের ম্যানেজার সাইফুর রহমান জানান, তার হোটেল দুই শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। তারা বৃহস্পতিবার বেড়াতে এসেছিলেন। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা এখানে আটকা পড়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারে সেজন্য সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন। ফলে দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আয়োজন করে রেখেছে। আগামী রোববার পর্যন্ত দ্বীপে হোটেল-মোটেল, জাহাজ ছাড়াও সেখানকার স্থানীয়দের অনেক ঘরবাড়ি বুকিং ছিল। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় হোটেল মালিকসহ দ্বীপের ব্যবসায়দের দেড় কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, দ্বীপে বেড়াতে এসে দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি বৈরী আবহাওয়ায় কোনো পর্যটক যাতে সমুদ্রে গোসল করতে না নামেন, সে বিষয়ে বীচ কর্মীদের সর্তক করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রলয়ঙ্কারী হয় নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় : নভেম্বর মাসে যেসব ঘূর্ণিঝড় হয়েছে সবগুলো ছিল ভয়াবহ। এরমধ্যে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডর উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী লন্ডভন্ড করেছিল। যার ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। আর নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আসার খবরে দক্ষিণ উপকূলের মানুষের মাঝে ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলায় মোট ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১শ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৩৫০০টি কম্বল মজুত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী ইউথ ফোরামের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে ভলান্টিয়াররা।
পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ নৌরুটে চলাচলকারী ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ডাবল ডেকার লঞ্চ চলাচল বন্ধে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
২২ মন্ত্রলণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান। এরইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২২টি মন্ত্রলণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে সচিবালয়ে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মনিটরিং সেলের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
এনামুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে সাইক্লোন সেন্টারসহ উপকূলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সাইক্লোন সেন্টারে দুই হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবার ও নগদ পাঁচ লাখ করে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *