শীতজনিত রোগে ৩৯ জনের মৃত্যু

এইমাত্র জাতীয় সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১ নভেম্বর থেকে রোববার পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে শীতজনিত রোগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৯ জনের। যাদের মধ্যে ১৬ জন নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে এবং বাকি চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৯৬টি উপজেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরো চার হাজার ২৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৭২০ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসে এক হাজার ৭৪১ জন, শীতজনিত অন্যান্য রোগে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৯৩ জন।
ওই সূত্রের তথ্যানুসারে গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ জন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে মোট ৩৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। যাদের মধ্যে ১৬ জন নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে এবং বাকি চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এদিকে, শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজধানীর মহাখালী আইসিডিডিআরবি’র কলেরা হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। গত সাত দিনে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে পাঁচ হাজার ২০৯ জন। সারা দেশেই ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন রোগীর ভিড় বাড়ছে জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসে এক হাজার ৭৪১ জন। গত ১ নভেম্বর থেকে রোববার পর্যন্ত ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক লাখ ৯১২ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে চারজন। মৃতরা খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের বাসিন্দা ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, রোটা ভাইরাস থেকেই সাধারণত এই সময় ডায়রিয়া হয়ে থাকে। আর এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয় শিশুদের। ডায়রিয়া থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করাই ভালো। ঘরে খাবার স্যালাইন রাখা ভালো। পায়খানা ও বমি বেশি হলে এবং দুর্বল হয়ে পড়লে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
আইসিডিডিআরবি সূত্র জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে ভর্তি হয় ৮২৮, ১৬ ডিসেম্বর ৭৮০, ১৭ ডিসেম্বর ৭৫৭, ১৮ ডিসেম্বর ৮৭২, ১৯ ডিসেম্বর ৭২০, ২০ ডিসেম্বর ৬৫৬ ও সব শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৬ জন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *