গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই

এইমাত্র রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেসিডেনশিয়াল কলেজের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।


বিজ্ঞাপন

রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আদালত স্বাধীন। কোথায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে আর কোথায় করবে না, সেটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়। তবে এটির সাথে কোনভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই।’

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের বিবৃতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল তারা ফিলিস্তানে নির্বিচারে মানুষ মারা হয় সেটির বিরুদ্ধে কিন্তু বিবৃতি দেয় না। সুতরাং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। যে কেউ বিবৃতি দিতে পারে। আমি দেখেছি কাগজে ৪৭ বিশিষ্টজন এ ব্যপারে বিবৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ ৪৭ জন ছাড়াও হাজার হাজার বিশিষ্টজন ও বুদ্ধিজীবী আছেন। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে। তবে কোনো অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য বা এরপর যখন লুকানোর অপচেষ্টা করা হয়, একইসঙ্গে পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফন করা হয় এগুলো নিশ্চয় অপরাধ। প্রথমে অবহেলাজনিত মৃত্যু, এরপর এটিকে লুকানোর চেষ্টা কিনা বা অপমৃত্যুর পরে পোস্টমর্টেম ছাড়া মরদেহ দাফন করার জন্য যারা অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল তাদের থেকে প্ররোচণা ছিল বলে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। যদিও বিষয়টি তদন্তে আছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *