উন্মুক্ত ডাস্টবিনের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী

এইমাত্র রাজধানী স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করে রাখা বর্জ্যের দুর্গন্ধে জনভোগান্তির অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উঠেছে। রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে আবর্জনা তৈরি হয় তার প্রায় অর্ধেকই সংগ্রহ করতে পারে না সিটি করপোরেশন।
নগরবিদদের মতে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক হতে হবে। আর সিটি করপোরেশন বলছে, জায়গা সঙ্কটের কথা।
রাজধানীর মগবাজার। স্কুলের পাশে প্রধান সড়কেই পড়ে আছে আবর্জনা। উন্মুক্ত ডাস্টবিন থেকে আসা উৎকট দুর্গন্ধে নাকাল পথচারীরা। কিছু দূর এগুতেই চোখে পড়ে একই চিত্র। রাজধানীর অনেক স্থানেই রাস্তার অর্ধেক দখল করে ফেলা রাখা হয় বর্জ্য। জানতে চাইলে, পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান দিনভর এভাবেই থাকবে আবর্জনার ভাগাড়। মাঝরাতে বর্জ্য অপসারণ করবে সিটি করপোরেশনের গাড়ি।
এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, প্রতিদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়লা এখানে থাকে। ১২টার পর আমরা ময়লা সরিয়ে নিয়ে যাই।
এক অভিভাবক বলেন, স্কুলের পাশের থাকা ডাস্টবিনটা দ্রুত সরিয়ে নেয়া উচিত। এক শিশু শিক্ষার্থী বলেন, এ দুর্গন্ধ ভালো লাগে না।
এক পথচারী বলেন, এখানে নামকরা একটি স্কুল রয়েছে। এর পাশে ডাস্টবিনটি রাখা হয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশনে অনেক বার বলা হয়েছে যে আপনারা এখান থেকে এ ডাস্টবিনটি সরিয়ে নিন। কিন্ত তারা সরায়নি।
নগরবিদরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে ঢেলে সাজাতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আর নিশ্চিত করতে হবে তদারকি। নগরবিদ ড. আক্তার মাহমুদ বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে তা পরবর্তীতে রি-সাইক্লিং করার প্রক্রিয়াটি আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। নিজস্ব জায়গা না থাকার সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে সিটি করপোরেশন বলছে, কাজ চলছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গার অভাব আছে। যা রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। ৮ থেকে ১০টি কন্টেনাইর রাখা জায়গা হচ্ছে না। তারপরও এ বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্য তৈরি হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহই করতে পারে না সিটি করপোরেশন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *