কাবিননামা থেকে ‘কুমারী’ বাদ

আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে কনের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ‘কুমারী’ শব্দ বাদ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা শব্দগুলো থাকবে। পাশাপাশি বরের ক্ষেত্রে অবিবাহিত, বিপত্নীক, তালাকপ্রাপ্ত কিনা তা ৪ (ক) ধারায় সংযুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাঁচ বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।


বিজ্ঞাপন

মুসলিম বিবাহ ও তালাক আইনের ৯ ধারার ৫ নম্বর অনুচ্ছেদটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২০১৪ সালেল ৭ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন করে।

আবেদনে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন ফরমে (কাবিননামা) শুধু কনের বৈবাহিক অবস্থা ও তথ্য সন্নিবেশিত করার জন্য অনুচ্ছেদ রয়েছে। তবে বরের বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত কোনো কলাম নেই। এটা নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক। সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিষয়টি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান পরিপন্থী।


বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রেজিস্ট্রেশন ফরমের (কাবিননামা) পাঁচ নম্বর কলাম কেন বৈষম্যমূলক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।


বিজ্ঞাপন

ওই কলাম থেকে ‘কুমারী’ শব্দটি বিলোপ করে ফরমটি সংশোধন করা এবং বর সম্পর্কিত কোনো ক্রমিক ফরমে কেন উল্লেখ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।

জনপ্রশাসন সচিব, ধর্ম সচিব, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচাকলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এর মধ্যে রুল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন। পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষ আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

👁️ 5 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *