হঠাৎ উধাও মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার হ্যাক্সিসল

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা সারাদেশ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে তিন জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ হ্যাক্সিসল।
আতঙ্কে অনেকেই বেশি পরিমাণ এসব উপকরণ কেনার ফলে ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরাই পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় এই সব দ্রব্য। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি এতটাই বেড়েছে যে অনেক স্থানেই এখন এসব পণ্য স্টক আউট। কোথাও পাওয়া গেলেও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম অনেক বেশি।
সোমবার রাজধানীর ফার্মগেট, শাহবাগ ও ধানমন্ডি এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অনেক দোকানেই মাস্ক নেই। অনেকেই মাস্ক কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
আহসান কবির নামের একজন ক্রেতা জানান, করোনা আক্রান্তের খবর শোনার পর মনে আতঙ্ক ধরে গেছে। যতোটা সম্ভব সতর্ক থাকার জন্য মাস্ক কিনতে এসেছি। নিজের এবং সন্তানের জন্য ২টা মাস্ক কিনেছি।
শুক্রাবাদের বাসিন্দা সাবিনা বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি, সে জন্যই মাস্ক কেনা। কয়েকদিন আগে যে মাস্ক কিনেছি ২০ টাকা দিয়ে সেটাই এখন কিনলাম ১০০ টাকা দিয়ে। তাও তো এখানে ১০০ টাকায় পেলাম, মিরপুর রোডে এই মাস্কই দেখে এলাম ১৫০ টাকা।
গুলশানের বাসিন্দা উম্মুল খায়ের নীতু জানান, তিনি বনানী আর শ্যামলীতে সব দোকান খুঁজেও হ্যাক্সিসল পাননি। অবশেষে গুলশান ২ নম্বরের এক ফার্মেসি থেকে হ্যাক্সিসল কিনেছেন। কিন্তু সেই দোকান থেকে মাস্ক ইতোমধ্যে স্টক-আউট হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমকর্মী মাকসুদ উন নবী বলেন, মগবাজারের মধুবাগের পাঁচটি ওষুধের দোকান ঘুরে তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাননি। মার্কেট আউট বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা।
মাকসুদ বলেন, এসব দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর মাস্কের জন্য যে পরিমাণ ভিড় দেখেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে মানুষ আতঙ্কিত।
ফার্মগেটে ফুটপাতের দোকানে মাস্ক বিক্রেতা জসিম বলেন, দুইটার নিচে কেউ আর মাস্ক কিনছেন না। পাইকারি বিক্রেতারা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
অনলাইনে কেনাকাটা করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে পেজেও বেড়েছে মাস্কের চাহিদা।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাস প্রথম দেখা দেয়। পরে চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। ইতালি থেকে পুরো ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানে এ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতে আগেই পৌঁছেছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ভারতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমণের খবর এলো রোববার।


বিজ্ঞাপন
👁️ 6 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *