অপকর্ম, ঘুষ ও নানরকম অনিয়ম – দুর্নীতি’র অভিযোগ পল্লবী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের উমেদার জসিম ও রাজিবের বিরুদ্ধে 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : বার বার অভিযুক্ত হয়েছেন ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে। একারণে বদলিও হয়েছেন পল্লবী অফিস থেকে অন্যত্র অফিসে। কিন্তু বিধিবাম! ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই দুই উমেদার জসিম ও রাজিব ঘুরে ফিরে একই অফিসে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছেন যা কেউ দেখার নেই। নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে পল্লবী অফিসে গড়ে তুলেছেন উমেদা সিন্ডিকেট।


বিজ্ঞাপন

উমেদার পদে কাজ করা এই দুই ব্যক্তি সব অপকর্ম করে থাকেন অবলীলায়। দলিলের পাতা পরিবর্তন, দাগ ও খতিয়ান পরিবর্তন, ভলিউম ছেঁড়া, ঘুষ আদায়, জমির শ্রেণী পরিবর্তন, এবং দলিল দেখার কাজ এদের না হলে তারা ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে এই কাজটিও করে থাকেন।

অনুসন্ধানে গেলে নাম ও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে  এক দলিল লেখক প্রতিবেদক কে জানান,  দলিল করতে আসা দাতা-গ্রহিতাদের অনেক হেস্ত নেস্ত করে থাকেন। তাদের দুইজনের ভয়ে কেউ ততস্ত নরেন না সকল দলিল লেখকদের জিম্মি করে প্রতিদিন অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।


বিজ্ঞাপন

আওয়ামী স্বৈরশাসকের সময় থেকে তাদের বিচরণ, যা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। বর্তমান সরকার যেখানে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেখানে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ৬০ টাকা বেতনের প্রভাবশালী উমেদার জসিম, রাজীব ও তাদের ভয়ংকর সিন্ডিকেট। আর সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকা। অথচ উমেদার সরকার অনুমোদিত বৈধ কোনো পদ নয়।


বিজ্ঞাপন

দৈনিক ৬০ টাকা মাসে ১৮০০ টাকার কর্মী হয়েও নামে বেনামে গড়েছেন আরো সম্পদের পাহাড়। দামি হাইয়েস মাইক্রোবাস, সাভার মসুরি খোলা এলাকায় ১৫/২০ শতাংশ জমি রয়েছে জসিমের। ময়মনসিংহ, ভালুকা রয়েছে গরুর খামার। সৌদি আরবের রয়েছে ব্যবসায়ী পাটনার।

শুধু পল্লবী অফিস নয়, তার ভয়ংকর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করেন মিরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। মিরপুর ও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম জসিম গং।

জানা গেছে , ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন প্রশাসনের ভয়ে। তখন ঘুষ নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় দৈনিক ৬০ টাকা বেতনের উমেদারদের। এখন পর্যন্ত এই সুযোগটাই কাজে লাগান উমেদার সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলে ফোনটি তিনি রিসিভ করেননি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না ।

প্রশ্ন এখন এখানে, দৈনিক ৬০ টাকা বেতনের কাজ করে কিভাবে গড়ে তুলল এত অবৈধ সম্পদ যা সম্পূর্ণরূপে দুদকের চোখের আড়ালে ? এবিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কি উমেদার জসিম, রাজীব ও তাদের ভয়ংকর সিন্ডিকেটের সাথে কানামাছি খেলা খেলছে ?

👁️ 8 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *