পাটকল শ্রমিকদের বঞ্চনার অবসান

অর্থনীতি জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশের সব পাটকলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, চাকরির অবসায়নের মাধ্যমে পাটকল শ্রমিকরা গড়ে ১৩.৮৬ লাখ টাকা পাবেন। কারও কারও ক্ষেত্রে তা ৫৪ লাখ টাকাও হবে। আহমদ কায়কাউস বলেন, এ পর্যন্ত এই পাটকলগুলোর পুঞ্জিভূত ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এখানে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে। ২০১৫ সালের সর্বশেষ মজুরি কাঠামো অনুযায়ী প্রায় ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিক অবসরকালীন সুবিধাসহ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পাবেন জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, সেজন্য আগামী তিন দিনের মধ্যে শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। মুখ্য সচিব আরো জানান, পাটকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওয়া বুঝিয়ে দিতে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই লাখ টাকার কম যাদের পাওনা হবে, তাদের পুরো টাকা তাৎক্ষণিকভাবে নগদ দেওয়া হবে।
ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলের ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারীর চাকরি গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসায়নের সিদ্ধান্ত গত রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তবে মন্ত্রণালয়েল সচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, শ্রমিকদের অবসায়নের পর আগামী ছয় মাসের মধ্যে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) আওতায় আধুনিকায়ন করে এসব পাটকলকে উৎপাদনমুখী করা হবে। তখন এসব শ্রমিক সেখানে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, সোনালি আঁশে সমৃদ্ধ অর্থনীতির স্বপ্নে স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালে বিজেএমসির আওতায় ৭০টিরও বেশি পাটকল ছিল। কিন্তু ধারাবাহিক লোকসানের কারণে মিলসংখ্যা কমতে কমতে ২৫-এ গিয়ে ঠেকে। সর্বশেষ পাটকলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসানে ছিল বিজেএমসি। বর্তমানে সংস্থাটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও বেসরকারি খাতের অনেক পাটকল ঠিকই মুনাফা করতে পারছে। কভিড-১৯ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারের পাটের চাহিদা বাড়ছে, এমন একটি সম্ভাবনাময় সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। যদিও বন্ধ ঘোষণার কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাট শিল্পকে আবার কীভাবে প্রতিযোগিতায় আনা যায় এবং কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিবেচনা থেকেই পাটকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর অতীত তুলে ধরে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো গত ৪৮ বছরের মধ্যে শুধু চার বছর লাভের মুখ দেখেছে এবং ৪৪ বছর ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান দিয়েছে। লোকসান হলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য সরকারের অর্থের ওপর নির্ভর করতে হতো বলে প্রতি মাসেই শ্রমিক-কর্মচারীদের এ-সংক্রান্ত সমস্যা চলছিল। পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের সর্বশেষ মজুরি কাঠামো অনুযায়ী পাটকলগুলোর ২৫ হাজার শ্রমিককে তাদের অবসরকালীন সুবিধাসহ পাওনা পরিশোধ বাবদ সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। পাট খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর দর্শন হচ্ছে পাটকল শ্রমিকদের বাঁচানো।
এর আগে গত ২৫ জুন পাটকল বন্ধসংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছিলেন, আমরা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেব। আগে মিলগুলোকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। আমরা না বিক্রি করে জুট মিলই রাখব। ম্যানেজমেন্ট দেব যাতে লোক ছাঁটাই না হয়। এই শ্রমিকরা এখানেই চাকরি পাবেন, কারণ স্কিল্ড ওয়ার্কার ছাড়া মিল চালাতে দেয়া হবে না। মিলগুলো বুঝে পাওয়ার পরে টেন্ডার হবে, যে বেশি দেয় তাকে দেয়া হবে কিন্তু হি মাস্ট বি এ জুট মিল এক্সপার্ট। জুট মিল এক্সপার্ট না হলে সে কাজ করবে না। জমি নেয়ার চেষ্টা করলে, সেটা আমরা দেব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পাটের জন্য আন্দোলন করেছেন, সুতরাং পাটকে আমাদের রাখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে জুট মিল থাকবে, এটা ডিসাইডেড। সরকার পিপিপির কথা বললেও এর আগেও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণ হয়। তখনকার অভিজ্ঞতাও ভালো না। বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা মিলগুলোর বেশির ভাগই সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি খাতে দেয়া চারটি পাটকল ফিরিয়েও নিয়েছে সরকার। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে দেয়া মিলগুলোর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে মিল পরিচালনা না করে বন্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছে, হাজার-হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে তাদের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এতে মিল হস্তান্তরের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে এবং হস্তান্তর চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী সরকার, বিজেএমসি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধের জন্য বারবার পত্র দেয়া সত্ত্বেও পাওনা পরিশোধ করেনি বেসরকারি খাতে দেয়া মিল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও দায়দেনা পরিশোধ না করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিল বন্ধ রেখে উৎপাদন বৃদ্ধি না করে চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করেছে। শেয়ার মূলধনের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের জন্য বারবার পত্র দেয়া হলেও মিলের ক্রেতারা ওই অর্থ পরিশোধ করেনি। সরকার ও সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় পাওনা পরিশোধের আগে মিলের কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে বিক্রয়/হস্তান্তর না করার জন্য চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েও মিলের যাবতীয় মেশিনারি ও স্থাপনা সরকারের অজান্তে বিক্রি করে চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকারের আমলেই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কয়েক বছর আগে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল করপোরেশনের (সিটিইএক্সআইসি) কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিটিইএক্সআইসি জরিপ বলছে, পাটকলগুলোর বিদ্যমান পুরনো মেশিন সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। সব মেশিন বদলানোর পরামর্শ দেন তারা। এখন সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পরিচালনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে সরকার।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) সভাপতি মো. জাহিদ মিয়া বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলগুলো আধুনিকায়নের পর পাট খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হবে। তবে পাটের বৈশ্বিক চাহিদা কমে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে লাভজনকভাবে মিল পরিচালনা করার জন্য সুচিন্তিত পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। পিপিপির আওতায় এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েই মিলগুলো পরিচালনা করা প্রয়োজন হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সারা বিশ্ব এখন সবুজায়নে জোর দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৮টি দেশ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ওই দেশগুলোয় বিপুল পরিমাণে পাটের ব্যাগের চাহিদা সৃষ্টি হবে। পাটবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল জুট স্টাডি গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে বছরে পাঁচ হাজার কোটি পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক আঁশ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের পর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই দেড় হাজার কোটি ডলারের শপিং ব্যাগের বাজার তৈরি হবে। এছাড়া পাটের শপিং ব্যাগ, শৌখিন ও আসবাবসামগ্রী তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনেরও সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববাজারে শুধু পাটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে ৫০০ বিলিয়ন পিস। এতে পাটের তৈরি পণ্যের বড় ধরনের চাহিদা তৈরি হবে। এতে দেশগুলোতে বার্ষিক বিপুল পরিমাণে পাটের ব্যাগের চাহিদার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া পাটের শপিং ব্যাগ, শৌখিন ও আসবাবসামগ্রী তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। ফলে রফতানির অন্যতম খাত হতে পারে পাট। সেই বাজার ধরতে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের অভাবে সেটি ধরা কষ্টকর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লাভের মুখ দেখতে না পারার একটি বড় কারণ নতুন নতুন প্রযুক্তি না আসা ও পণ্যের বহুমুখিতা না হওয়া। এছাড়া অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি তো ছিলই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণাহীনতা ও পুরনো মেশিন দিয়ে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। দেশের কারখানাগুলোতে মাত্র পাঁচ-সাত ধরনের ইয়ার্ন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ভারতের কারখানাগুলো ১১০টির বেশি ইয়ার্ন তৈরি করছে। ফলে সুতাভিত্তিক পণ্য তৈরিতে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। একসময় পাট দিয়ে শুধু দড়ি, চট, ছালা তৈরি হতো। কিন্তু পাট দিয়ে এখন শত শত ধরনের ব্যবহার্য জিনিস তৈরি হচ্ছে। ঘরের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস থেকে শুরু করে বিশ্বের নামিদামি গাড়ির ভেতরের কাপড়, বডি, কাপড়, বিছানার চাদর, টুপি, ফার্নিচার, শার্ট, প্যান্ট এমনকি জিনসও এখন তৈরি হচ্ছে পাট থেকে। তৈরি হচ্ছে পাট পাতার চা। সামনের দিনে যদি হোম টেক্সটাইল, হোম ফার্নিশিং বিশেষ করে পর্দার কাপড়, কাভার ও শৌখিন কাপড় তৈরি করতে পারি তাহলে তা আরো বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া লাইফস্টাইল পণ্য ও গিফট তৈরি করা সম্ভব। তাহলে এসব বহুমুখী পণ্য দিয়ে সামনের দিনে পাট শিল্পকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব।
উল্লেখ্য, গত ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে ৮ হাজার ৯৫৪ জন পাটকল শ্রমিক অবসরে গেছেন। তাদের সব পাওনাও এক সঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন পাটমন্ত্রী। তবে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এর বিরোধিতায় মিছিল-সমাবেশের মত কর্মসূচি চালিয়ে আসছে গত কয়েক দিন ধরে। বিশ্বে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা যেখানে বাড়ছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন হলে শ্রমিক ছাঁটাই নয়, বরং নতুন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে যুক্তি দিয়ে আসছেন প্রতিবাদকারীরা।
যেভাবে পাওয়না পরিশোধ করা হবে: ২ লাখের বেশি পাওনা হলে ৫০ শতাংশ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে নগদ দেওয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা তাদের দেওয়া হবে তিন মাস মেয়াদী সঞ্চয়পত্রের আকারে। অর্থাৎ এই সঞ্চয়পত্র থেকে তিনি ইন্টারেস্ট পাবেন। আমরা একটা হিসেব করে দেখেছি, যদি গড়ে ১১ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়া হয়, তাহলে তিন মাসে গড়ে ১৯ হাজার ৩২০ টাকা থেকে ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা পেতে পারেন তারা।


বিজ্ঞাপন
👁️ 2 News Views