ঢাবি’র অভিযুক্ত শিক্ষককে ববি’র ভিসি করা হচ্ছে !

এইমাত্র জাতীয় বরিশাল শিক্ষাঙ্গন

সত্য প্রকাশ দত্ত : বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থীক অনিয়ম, নম্বর টেম্পারিং, যৌন হয়রানীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের মুখে ভিসিকে পদত্যগে বাধ্য করানো এমন একটি বিশ্ববিদ্যাল অভিযুক্ত শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিলে আবারে আন্দোলন হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি। এর পর থেকে ওই পদটি শূণ্য রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবের নাম প্রস্তাব করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০০৩-২০০৪ সেসনের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও টেবুলেটর ছিলেন অধ্যাপক মাহবুব। ওই পরীক্ষায় লিখিত অবৈধ ভর্তির নিয়ম না মানার অভিযোগের প্রমান পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শাস্তি হিসেবে তাকে তিরষ্কার, ভবিষ্যতের জন্য শতর্ক করা এবং পরবর্তী দুই বছর টেবুলেটিং ও সব ধরনের পরীক্ষা কমিটির কাজ থেকে তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরো জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ‘বিভাগীয় কারিকুলাম প্রণয়ন’ সভার সিদ্ধান্ত অনুযাই অধ্যাপক মাহবুবকে বিভাগের কারিকুলাম, বিভাগীয় রেজাল্যুশন ও ব্যয় হিসাব একই বছরের ৩০ এপ্রিল আইকিউএসি-ঢাবি কার্য্যালয় জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছিলো। ওই সময়ের মধ্যে তিনি জমা দেননি। এর পর আবারো চিঠি দিয়ে তাকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জমা দেয়ার কথা বলা হলেও তিনি অদ্যবধি তা জমা দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সূত্র জানায়, সান্ধ্যকালিন কোর্সের প্রধান হিসেবে একজন শিক্ষত তিন বছর থাকতে পারেন। কিন্তু অধ্যাপক মাহবুব প্রভাব খাটিয়ে প্রায় দশ বছর ধরে প্রধান হিসেবে আছেন। ওই কোর্স থেকে আয়ের হিসেবেও গড়মিল থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে আরো জান যায়, ওই বিভাগেরই একজন নারী শীক্ষিকা অধ্যাপক মাহবুবের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে নম্বর পছন্দের স্টুডেন্টদের বেশি নম্বর আর অপছন্দের স্টুডেন্টদের কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


বিজ্ঞাপন
👁️ 18 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *