বুড়িগঙ্গায় সীমানা পিলার স্থাপন, ঢামেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করলো ডিএসসিসি

রাজধানী

আজকের দেশ রিপোর্ট : বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের উদ্ধারকৃত জায়গার প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ ও তৎসংলগ্ন সামনের অংশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)।


বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে সীমানা পিলার স্থাপন এবং বিকেলে ঢাকা মেডিকেলের সামনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম ২টির নেতৃত্ব দেন কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, সকালে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে দখলমুক্ত হওয়া জায়গায় প্রতি ৫০ মিটার অন্তর মোট ১০টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে সর্বমোট ৪৫০ মিটার সীমানা পিলার স্থাপন করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলের সামনে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে থাকা প্রায় শ’ খানেক টং দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সরকারি রাস্তা দখল করে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের জেল দেওয়া হয়।

জানা যায়, অভিযানে উচ্ছেদকৃত মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও এ সময় ৫ জনকে আরও ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। সব মিলিয়ে বিকেলের অভিযানে মোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখল মুক্ত করে সেখানে জলপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির যে উদ্যোগ করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গ্রহণ করেছেন, তারই অংশ হিসেবে আজকের এই সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান ঢাদসিক সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান।

মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান আরও বলেন, “ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে প্রায় অর্ধেক রাস্তা এবং পুরো ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোয় আগত রোগীদের হাসপাতালে ঢোকা এবং যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এদিকে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজী আলাউদ্দিন রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাধা সৃষ্টি করা স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী।

আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “কাজী আলাউদ্দিন রোডের ড্রেনগুলোতে লোহার রড-ইট-পাথর দিয়ে তৈরি করা বেশ কয়েকটি স্ল্যাব পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাড়ির বর্ধিত অংশের সেসব স্ল্যাব-রড়ের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে দিয়েছি। তারপর সেখানকার পানি দ্রুত অপসারিত হয়।”

সীমানা পিলার স্থাপনকালে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি)লালবাগ সার্কেল লায়লা আঞ্জুমান,বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক, ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।