চীন ও মার্কিন দ্বন্দ্বে লাভবান বাংলাদেশ

অন্যান্য অর্থনীতি আন্তর্জাতিক জাতীয়

আজকের দেশ ডেস্ক :এশিয়ার রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশি পোশাক খাত। মঙ্গলবার এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদেশের ক্রেতাদের চীনের পোশাক তৈরি কোম্পানিগুলোকে দেওয়া অর্ডার বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। যে কারণে বাংলাদেশের কাছে সেই পোশাক তৈরির অর্ডারগুলো চলে আসছে। ফলে দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির সুযোগ পেয়েছে।
এতে বাংলাদেশের রফতানি খাতে আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ‘ব্লুমবার্গ’ তাদের প্রতিবেদনটিতে জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ৩০ বছর যাবত বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে ‘নিউএজ গ্রুপ’।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনই তারা মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ না পেলেও এবার সেই সুযোগ এসেছে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের পর এই প্রথম তারা দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজের অর্ডার পেয়েছে।
‘নিউএজ গ্রুপে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীম জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পোশাক রফতানি করে আসছেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে বছরে প্রায় আড়াই কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক দেশটিতে রপ্তানির করা যাবে।
গণমাধ্যমটির দাবি, সম্প্রতি প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্য মানের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে মার্কিন ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
‘নিউএজ গ্রুপে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীম জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পোশাক রফতানি করে আসছেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে বছরে প্রায় আড়াই কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক দেশটিতে রপ্তানির করা যাবে।
গণমাধ্যমটির দাবি, সম্প্রতি প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্য মানের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে মার্কিন ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
যে কারণে অর্ডারগুলো এখন প্রতিবেশী বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের কাছে চলে গেছে। ‘নিউএজ গ্রুপে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘চীনে বাতিল হওয়া অর্ডারগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, এর ফলে চীনের অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগও করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
‘ব্লুমবার্গে’র তথ্য মতে, আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ তাদের পোশাক রপ্তানি বাবদ প্রায় ৭২০ কোটি ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। এ দিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, যার অর্থ হচ্ছে এবার চীনের প্রায় ৪১০ কোটি ডলার মূল্যের অর্ডার বাংলাদেশে ঢুকবে। ফলে খুব শিগগিরই দেশটির তৈরি পোশাক খাতে আরও ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে। এমনকি যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটেনের এই গণমাধ্যমটি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *