করোনা সংক্রামণ থেকে বাঁচতে যা করবেন

এইমাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্তত ১ শ দেশে ছড়িয়েছে করেনা। দেশের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি আছে আরো অনেকে।
এ অবস্থা নিরাপদ থাকার জন্য সতকর্তা অবলম্বন করা জরুরি। সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ সতর্কতাগুলো কী? সেগুলো তুলে ধরা হলো।
গণপরিবহন: গণপরিবহন এড়িয়ে চলা কিংবা সতর্কতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোন ধরণের পরিবহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। সেজন্য যে কোন পরিবহনে চলাফেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে নেমে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কর্মক্ষেত্র: অফিসে একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। যে কোন জায়গায় করোনাভাইরাস কয়েক ঘণ্টা এমনকি কয়েকদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস পরিষ্কার করে নিন।
জনসমাগমস্থল: যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলা কিংবা বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে খেলাধুলার স্থান, সিনেমা হল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থানও রয়েছে। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে জুমার নামাজের সময় বাড়ি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ওমরাহ বন্ধ করেছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রাহকরা যায় তখন অনেকেই একটি কলম ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি সে কলম ব্যবহার করে তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেজন্য নিজের কলম আলাদা করে রাখতে পারেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। এছাড়া টাকা উত্তোলনের জন্য যে এটিএম বুথ ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। কারণ এটিএম বুথের বাটন অনেকে ব্যবহার করে।
লিফট: ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরেকটি জায়গা হতে পারে বাড়ি কিংবা অফিসের লিফট। লিফট ব্যবহারের সময় নির্ধারিত ফ্লোরে যাবার জন্য লিফটের বাটন অনেকে ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন অফিস ভবনে প্রতিদিন শত-শত মানুষ লিফট ব্যবহার করছেন। এদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকেন এবং সে লিফটের বাটনে অন্যদের আঙ্গুল গেলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
টাকা-পয়সা: ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের একদল গবেষক গত বছরের অগাস্ট মাসে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশি কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রায় এমন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন, যা সাধারণত মল-মূত্রের মধ্যে থাকে।
গতমাসে ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে টাকা বা ব্যাংক নোট জীবাণুমুক্ত করার একটি উদ্যোগ দেখা যায় চীনে। দেশটিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সেখানে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে বাজার থেকে ব্যাংক নোট সরিয়ে নিয়ে তা আবার জীবাণুমুক্ত করে বাজারে ছাড়ে দেশটি।
শুভেচ্ছা বিনিময়: করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। আপনি যে ব্যক্তির সাথে কোলাকুলি এবং করমর্দন করছেন, তিনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে সেটি অন্যের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এজন্য করমর্দন এবং কোলাকুলির না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবকিছুর মূল কথা হচ্ছে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাত না ধুয়ে নিজের মুখম-ল স্পর্শ করবেন না। এটি হলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিয়মিত ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও আরো কিছু বিষয় মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ
১) সাবান ও পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।
২) চোখ, নাক ও মুখ বারবার স্পর্শ করা যাবে না।
৩) যত বেশি সম্ভব কণ্ঠনালী ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কণ্ঠনালী যদি শুষ্ক থাকে মাত্র ১০ মিনিটেই আক্রমণ মারাত্মক হতে পারে।
৪) সর্দি-কাশি হলে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে, টিস্যু ব্যবহারের পর দ্রুত তা ফেলে হাত ধুতে হবে।
৫) কারো জ্বর বা ঠান্ডা হলে তার খুব কাছে যাওয়া যাবে না।
৬) জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, ভ্রমণ করা যাবে না।
৭) মাংস ও ডিম সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে।
৮) অসুস্থ পশুপাখি খাওয়া যাবে না।
৯) কর্মস্থল ও কর্মস্থলে ব্যবহার্য জিনিস দিনে অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে।
১০) বাস, ট্রেন ও যেকোন গণপরিবহণে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভাইরাসের সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বছরের এই সময়ে অনেকেই বেড়াতে বের হন। ব্যবসা ও পড়াশোনার কাজেও অনেককে দেশের বাইরে যেতে হয়। অনেকে আকাশ পরিবহনে ও বিমানবন্দরে চাকরি করেন। কাজেই করোনাভাইরাস নিয়ে এমন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের উদ্বেগ থাকাটাই স্বাভাবিক।
# প্রথম কথা হলো, যত দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তত দিন চীন, বিশেষ করে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর ভ্রমণ না করাই ভালো।
# বাইরে যেকোনো জায়গায় রেলিং, দরজার লক, গেট, হাতল, কম্পিউটারের মাউস, টাকা, পাসপোর্ট ইত্যাদি স্পর্শ করার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সব জায়গায় সাবান-পানি পাওয়া যায় না। তাই ব্যাগে বা পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। চোখ, নাক ও মুখে হাত বা আঙুল লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
# জ্বর-কাশি থাকলে ভ্রমণ বাতিলের চেষ্টা করুন। ভ্রমণরত অবস্থায় এই দুই উপসর্গের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চীন বা অন্য আক্রান্ত এলাকায় সম্প্রতি সফর করে থাকলে তা চিকিৎসককে জানান।
# যেকোনো জ্বর-কাশির রোগী থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে বিমানবন্দরের কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করা এখন অপরিহার্য।
# হাঁচি-কাশি এলে কনুইয়ের ভাঁজে নাক, মুখ গুঁজে দিন। টিস্যু পেপার ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে তা নিরাপদ জায়গায় বা বিনে ফেলতে হবে।
# মাস্ক ব্যবহার করলে খেয়াল রাখতে হবে যেন নাক-মুখ ঢাকা থাকে। একবার ব্যবহার্য মাস্ক নিরাপদ জায়গায় ফেলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
# খাবার ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
# যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা যাবে না।
# পশুপাখি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ নিরাপদ নয়। পশুপাখির খামারে যেতে হলে সুরক্ষামূলক গ্লাভস, মাস্ক ও গাউন পরতে হবে।
# হোটেলে খাবার টেবিল, ট্রে, ওয়াশ রুম পরিষ্কার ও পরিশোধিত কি না, তা আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। বেয়ারাকে হাত পরিষ্কার করে পরিবেশন করতে বলুন।
# সারিতে দাঁড়াতে হলে নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
# ভ্রমণের পর ১৪ দিন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় লোকসমাগমে না যাওয়াই ভালো।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, একজন নারী। তারা তিনজনই বাংলাদেশি।
জানা যায়, আক্রান্ত দু’জন ইতালির দুটি শহর থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। আর তাদের সাথে থেকে তৃতীয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সবাই একই পরিবারের সদস্য।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রোববার দুপুরে জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, একজন নারী। তারা তিনজনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে দু’জন ইতালির দুটি শহর থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে আসায় পরিবারের আরেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তাদের সবার অবস্থাই স্থিতিশীল। তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।
ওই তিনজনের সংক্রমণের বিষয়ে শনিবার নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘দুজন দেশে আসার পর তাদের উপসর্গ দেখা দেয়। আমাদের হটলাইনে ফোন দিলে আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাই। সেখানে দুজনের পজেটিভ আসে। তাদের কন্টাক্টে থাকা চারজনকে পরীক্ষা করেছি। একজন পজেটিভ। বাকিরা নেগেটিভ এসেছে।’
সেব্রিনা বলেন, ‘আশঙ্কা করছি না আরও ছড়িয়ে পড়বে। প্রত্যেকের মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই।’
এদিকে করোনায় আক্রান্তদের এদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সকল বাসিন্দাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হয় করোনাভাইরাসের। পরে চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ভারত এবং পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬শ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিশ্বব্যাপী ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখন্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।
জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। জার্মানিতে এই ভাইরাসে ৮শ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ৯৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৬ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
স্পেনে আক্রান্ত ৫২৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৪৩৮, মৃত্যু ১৯। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৬৮ এবং মারা গেছে ১ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২০৯ মৃত্যু ২। ইরাকে আক্রান্ত ৫৪, মৃত্যু ৪। ভারতে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি।
এছাড়া, সুইডেন আক্রান্ত ১৬১, সিঙ্গাপুরে ১৩৮, নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ১২৮ এবং মৃত্যু ১, নরওয়েতে আক্রান্ত ১২৭, বেলজিয়ামে ১০৯, হংকংয়ে ১০৮, মালয়েশিয়ায় ৯৩, অস্ট্রিয়ায় ৮১, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত ৭৭, মৃত্যু ৩, বাহরাইনে ৮৫, কুয়েতে ৬১, কানাডায় ৬০, থাইল্যান্ডে ৫০ এবং মৃত্যু ১, তাইওয়ানে আক্রান্ত ৪৫ এবং মৃত্যু ১, গ্রিসে ৬৬, আমিরাতে ৪৫, আইসল্যান্ডে ৫০, সান মারিনোতে ২৬ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু ১, ডেনমার্কে আক্রান্ত ২৭, লেবাননে ২৮, ইসরাইলে ২৫, চেক রিপাবলিকে ২৬, আয়ারল্যান্ডে ১৯, আলজেরিয়াতে ১৯, মিসরে ৪৮ এবং ভিয়েতনামে ১৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অপরদিকে, ওমানে ১৬, ফিলিস্তিনে ১৯, মিসরে ১৫, ফিনল্যান্ডে ১৯, ব্রাজিলে ১৯, ইকুয়েডরে ১৪, পর্তুগালে ১৩, রাশিয়াতে ১৫, ক্রোয়েশিয়ায় ১২, কাতারে ১২, ম্যাকাউতে ১০, এস্তোনিয়ায় ১০, জর্জিয়ায় ১৩, রোমানিয়ায় ১৩, আর্জেন্টিনায় ৯, স্লোভেনিয়ায় ১২, আজারবাইজানে ৯, বেলারুশে ৬, মেক্সিকোতে ৭, পাকিস্তানে ৬, ফিলিপাইনে আক্রান্ত ৬ এবং মৃত্যু ১, সৌদি আরবে ৭, চিলিতে ৭, পোল্যান্ডে ৬, স্লোভাকিয়ায় ৩, পেরু ৬, ইন্দোনেশিয়ায় ৪, নিউজিল্যান্ডে ৫, সেনেগালে ৪ ও হাঙ্গেরিতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া লুক্সেমবার্গে ৩, উত্তর মেসিডোনিয়ায় ৩, বসনিয়ায় ৩, ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রে ২, মরক্কোতে ২, আফগানিস্তান ৪, কম্বোডিয়া ২, বুলগেরিয়া ২, ক্যামেরুন ২, মালদ্বীপ ২, দক্ষিণ আফ্রিকা ২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, আন্দোরা, আর্মেনিয়া, জর্ডান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মোনাকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন, ভুটান, কোস্টারিকা, ভ্যাটিকান সিটি, গিব্রালটার, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টোগোতে একজন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন
👁️ 9 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *