রাতে নদী দখলের চেষ্টা

অপরাধ ঢাকা

রুখে দিল বিআইডব্লিউটিএ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার প্রাণ চারপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণপণ চেষ্টা চলছে অবৈধ দখল-দূষণমুক্ত করে নদীর প্রশস্ততা ও গভীরতা বৃদ্ধি করে মৃতপ্রায় নদীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে নদীর পাড়ে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলার। অথচ নানা কৌশলে এখনো চলছে নদী দখল। সময় হিসেবে গভীর রাতকে বেছে নেয়া হচ্ছে। ভরাটের উপাদান হিসেবে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন বিল্ডিং ভাঙার আধলা ইট-রাবিশ।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে এ কেরানীগঞ্জের ঝাউচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী নদীর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে সরাসরি নদীগর্ভের বিপুল পরিমাণ অংশ ডাম ট্রাকের মাধ্যমে রাবিশ দিয়ে ভরাটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে ৭ জন ভরাটকারীকে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দর কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
অভিযানে অংশ নিয়ে ঢাকা নদী বন্দরের আনসার বাহিনী ও বসিলা ফাঁড়ির নৌপুলিশ ৭ জন ভরাটকারী ছাড়াও ২ টি ডাম ট্রাক, ১ টি ভেকু জব্দ করে মামলা দায়েরর জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়। ভরাটকারীদের গৃহীত নানা অকৌশলের মধ্যে একটি হলো ডাম ট্রাকের সম্মুখ গ্লাসে বিআইডব্লিউটিএ’র লোগো ও ড্রেজিং বিভাগের ‘জরুরি মাটি অপসারণের কাজে নিয়োজিত’ লেখা সম্বলিত স্টিকার।
আটকের পর তারা জানান, ২ দিন ধরে চকবাজারের একটি বিল্ডিংয়ের ভাঙা ইট পাথর দিয়ে তারা নদীর জায়গা ভরাট শুরু করেছে। এবং তাদেরকে এই নদী ভরাটের নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ হাজী সেলিম। যেহেতু করোনা মহামারীর কারণে সবাই বাসায় রয়েছে। তাই এ সুযোগে দখলকারীরা নদী ভরাট করছিলো বলেও স্বীকার করেছে তারা।
উল্লেখ্য, মাত্র প্রায় ১ বছর আগে একই জায়গায় একই প্রক্রিয়ায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের লোকজন কর্তৃক নদী ভরাটের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ৬ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন
👁️ 15 News Views