দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে- ——গোলাম মোহাম্মদ কাদের

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  আজ মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। একই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়েছেন। ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। আজ দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিয়নায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতার শুরুতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ বৈষম্য মুক্তির যুদ্ধ নামে পরিচিত। বাঙালীর ইতিহাসে অনেকবার মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বৈষম্যহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ চেয়েছিলাম আমরা। এটা বাঙালীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গৌরবজ্জ্বল অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে আমরা আবারো বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এবছর জুলাই-আগস্ট মাসে আমাদের সন্তানরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে বিজয়ী হয়েছে। তাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম।

যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবী জানচ্ছি। সরকারী চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বাহলের জন্য সরকার কোর্টের মাধ্যমে ও বাকাতাড়া পথে নানাভাবে চেষ্টা করছিল। তখন জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিল। ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল, তাদের চাকরী যেন হয় মেধার ভিত্তিতে। আমরা এসময় সংসদে ও সংসদের বাইরে বলেছি ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।


বিজ্ঞাপন

ছাত্রদের এই অহিংস আন্দোলনকে দমন করতে শেখ হাসিনা সরকার চরম সহিংসতা করেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই আন্দোলনে মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরাও অংশ নিয়েছিল। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলো, তাদের ধারণা হয়েছিল এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কার নয়। সাধারণ মানুষের সাথে সরকার যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। বৈষম্যের মাধ্যমে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে কৃতদাসের মতো পরিণত করা হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন

তখন ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। তখন ছাত্ররা মনে করলো শেখ হাসিনার পতন ছাড়া এখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার গদ্যান্তর নাই। আর এ কারণেই গুলির সামনে বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছে কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হয়নি। এই আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান কোনদিনই অস্বীকার করা যাবে না, যে জনতা ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল তাদের অবদানও অস্বীকার করা যাবে না। দেশ ও বিদেশ থেকে অনেক সচেতন মানুষ এই আন্দোলনে সমর্থন যুগিয়েছিল। একই সাথে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নেতাকর্মী নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনকে সফল করেছে।

তাদের অবদানও অস্বীকার করা যাবে না। আন্দোলনরত ছাত্ররা জানিয়েছে তাদের আন্দোলন কখনই সহিংস ছিল না, সহিংসতা ছড়ানোর কারণেই সরকারের পতন হয়েছে। এটা সত্য হতেও পারে নাও হতে পারে। ওই সময় শেখ হাসিনা বার বার বলেছে ছাত্রদের এই আন্দোলন অহিংস নয়, তখনই আমরাও এর প্রতিবাদ করে বলেছিলাম ছাত্রদের আন্দোলন অহিংস। সহিংসতার নাটক করে সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে।

এখন ছাত্রদের একটি অংশ নাকি বলছে আমরা ছাড়া শেখ হাসিনার পতন হতো না, এখন সুফল আমরাই ভোগ করবো এবং আমাদের কথায় দেশ চলবে। এখন আবার কেউ কেউ নাকি বলছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নাকি ভুল ছিল, কেউ কেউ বলছে তখন বেশিরভাগ মানুষেরই নাকি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন ছিল না। বাঙালি জাতির দূর্ভাঙ্গ হচ্ছে সবসময় তারা বৈষম্যের শিকার হয়। তারা বৃটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীনতার পরেও বৈষম্যের শিকার হলেও এর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে গেছে। এখানে বাঙালিদের ঐতিহ্য হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সফলতা ছিনিয়ে এনেছে। বৃটিশ আমলে বাঙালী মুসলমানরা বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল।

পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালীদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল পাকিস্তানীরা। এরপর ছয় দফা আন্দোলন হচ্ছে আমাদের স্বশাসিত নিজস্ব একটি বৈষম্যহীন দেশ চাই। ছয় দফার ধারাবাহিকতায় ৭০ এর নির্বাচন হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাঙালীরা আওয়ামী লীগকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল যাতে পাকিস্তানের মসনদে বসে স্বায়ত্বশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তখন পাকিস্তানিরা টালবাহানা করে ২৫ মার্চ রাতে বাঙালী জাতির উপরে হত্যাযজ্ঞ চালায়। তখন বাঙালী জাতি বুঝতে পেরেছে স্বাধীনতা ছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নেই। সেই সময়ে বাঙালীরা যদি সাহস দেখাতে না পারতো তাহলে ইতিহাস থেকেই হয়তো বাঙালী জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো।

বাঙালীদের হয়তো নিচু স্তরের জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হতো। একাত্তরকে বাদ দিয়ে কোন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে পারবেন না। ২০২৪ সালে বাঙালী জাতি যখন আবার নিগৃহিত হলো, নিস্পেষিত হলো তখন ছাত্রদের নেতৃত্বে বাঙালী আবার রুখে দাঁড়ালো। তখন ছাত্ররা চেয়েছিল শেখ হাসিনার পতন ও অবাধ-সুষ্ঠু, অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন। সেই সরকারের জন্য একটি শাসন ব্যবস্থা। যে শাসন ব্যবস্থায় এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকবে না এবং তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দানবে পরিণত করবে না। সেরকম একটি সংবিধান বা শাসন পদ্ধতি। তার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ। ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই নাকি বলছেন, আমরা মুসলিম দেশ, আমরা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করবো।

এটা কতটা সত্য জানি না। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান, ধর্মের প্রতি আমাদের অগাধ আনুগত্য আছে। ধর্মের কারণে অনেকে শরিয়াহ্ রূল চাইতে পারে। দেশের মানুষ ধর্মের ব্যাপারে অত্যন্ত সহানুভুতিশীল। কিন্তু অনেকেই ধর্মীয় রুলসে জীবন যাপনে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন না। দিমত আছে যেখানে সেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর আন্দোলন করতে হলেও দেশের মানুষকে আগেভাগেই এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যারা ব্যক্তি, দলীয় বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ বিবেচনা করবে না। বর্তমান সরকার এই প্রায়োরোটি মেনে নিয়েছিল। বড় ধরণের সংস্কারের জন্য প্রয়োজন হয় জাতীয় ঐক্যের। জাতিকে বিভাজিত করে বড় কোন কাজ করা সম্ভব নয়।

বিচারের নামে কোন প্রহসন চাই না। আজকে আপনি ক্ষমতায় আছেন, একটি হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে পারেন। ১০/১৫ বছর পর যখন আপনি ক্ষমতায় থাকবেন না তখন আবার ঠিকই সেই মামলা সামনে চলে আসবে। এই সময় যারা হত্যা মামলার কথা বলছেন, এই সময়ের আগের এবং পরের সকল হত্যা মামলার সঠিক বিচার হবে। তাই, তারাহুড়া করার কোন দরকার নাই। শহীদদের আত্মত্যাগকে মিথ্যা মামলা বানিয়ে লাখ লাখ মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে। শহীদদের হত্যা মামলা নিয়ে দূর্ণীতি হচ্ছে, ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধারে ও সামাজিক ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রতিশোধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে উদ্দেশ্যে শহীদগণ আত্মত্যাগ করেছে, সে উদ্দেশ্য সফল হলেই শহীদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হয়। আমরা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছিলাম, জাতীয় ঐক্যে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।

মামলা করবেন করেন, সঠিক অপরাধীকে গ্রেফতার করবেন করেন, কিন্তু শাস্তির দেওয়ার নামে প্রতিহিংসা বা জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি কাম্য হতে পারে না। যাদের প্রতি ঘৃণা দেখাচ্ছেন তাদের মাঝেও ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ভালো শাসন ব্যবস্থা এবং একটি বৈষম্যহীন দেশ। সারাদেশকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে। একটি অংশকে বলা হচ্ছে দেশপ্রেমিক আরেকটি অংশকে বলা হচ্ছে দেশদ্রোহী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা নির্যাতিত হয়েছে বা ঝুঁকিতে ছিল তাদেরকে দেশপ্রেমিক মনে করা হচ্ছে। যারা নির্যাতিত হয়নি তারা দেশপ্রেমিক নয়? যারা পুরুষ্কৃত হয়েছে তারা দেশদ্রোহী? এইসব দেশপ্রেমিকদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা করা, গালাগাল করা, বাড়িঘরে আক্রমণ করা এবং লুটতরাজ করা।

যারা উপদেষ্টা আছেন তাদের সম্বন্ধে আমি জানি, তারা অত্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ। আমি বিশ^াস করি তারা দেশের স্বার্থেই কাজ করছেন। মনে হচ্ছে একটি অদৃশ্য শক্তি আছে, যারা উপদেষ্টাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। দেশের অর্ধেক মানুষের বিরুদ্ধে অর্ধেক মানুষকে মুখোমুখি দাড় করানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচার বিভাগ যেন বাধ্য হয়ে তাদের সহায়তা করছে। দেশকে শুধু দুই ভাগ করা হয়নি, এক ভাগকে অন্য ভাগের উপর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

এমন বাস্তবতায় কখনই দেশে স্থিতিশীলতা আসতে পারে না। যেকোন সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের দেশে সম্পদ কম, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। এমন একটি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চেয়েছি। শুনলাম তারা আর সংস্কার করতে পারছে না, তারা একটি সংস্কার প্রস্তাব তৈরী করছে। কারণ, সংস্কার করতে হলে সংসদে যেতে হবে।

সবদলের সহযোগিতা ছাড়া সংস্কার সংসদে পাশ করা যাবে না। এখন নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে, প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না। লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড পাবো এটা আমরা মনে করতে পারছি না। আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের নামে এখনো মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দু’জন এখনো জেলে আছে। মাঠেঘাটে সভাসমাশে করতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অফিস জ¦ালিয়ে দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে আমরা সেল্ফ সেস্নরশীপ দেখতে পাচ্ছি। আমরা যা বলি গণমাধ্যম তা প্রকাশ করতে পারে না।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে আমরা আগাগুড়া জড়িত ছিলাম। আমাদের নেতাকর্মীরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছে, জেল খেটেছে। এর প্রমাণ আমরা সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছি। আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে যে স্ট্রেটমেন্ট দিয়েছি তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। আমরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। অন্তত ৪ বছর আগে থেকে আমি অনেক ঝুঁকি নিয়ে সবসময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম।

যা এদেশের গণমাধ্যম প্রচার ও সম্প্রচার করেছে। এখন আমি এবং আমার দল কিভাবে দেশদ্রোহী হলাম সেটাই বুঝতে পারছি না। যারা শেখ হাসিনার দেওয়া মিথ্যা মামলায় পলাতক ছিল তাদেরকেও এখন হত্যা মামলায় আমার সাথে আসামী করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা বাদী প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু একটি দলীয় আইনজীবীরা চাপ সৃষ্টি করেছে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর নাম দিতে হবে।

অবস্থা এমন যে ওনাকে জেলে দিতে হবে, ফাসি দিতে হবে। অথচ যে দলই নির্যাতিত হয়েছে, আমি তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করেছি। সংসদে এবং সংসদের বাইরে আমি তাদের পক্ষে কথা বলেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি ও আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন প্রত্যাহারের চিঠি দিয়েছিলাম, আমাদের চিঠি গ্রহণ করা হয়নি। আমার নেতৃত্বে ২৭০ জন প্রার্থী ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলাম।

অথচ এখন আমাকে জেলে দেওয়ার জন্য একটি পক্ষ গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নামে হত্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে শুরু বিচার বিভাগের সবাই জানে এগুলো মিথ্যা মামলা। কিন্তু তারা মেনে নিচ্ছে। দেশের অর্ধেক অংশকে শেষ করে বাকি অংশ দিয়ে দেশ চালাবেন এটা কি সম্ভব হবে। নির্বাচনে আমরা যেতে চাই, কিন্তু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড পাবো কি তা দেখতে হবে।

আমি দাবী জানাচ্ছি, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন, আমাদের অধিকার অনুযায়ী রাজনীতি করতে দিন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না। হানাহানির পরিবেশ দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন দল থাকতে পারবে না। তাদের কোন দল থাকলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যতয় ঘটায়। দেশকে ভাগ না করে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, কো- চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, মেজর (অব.) আনিসুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম মহাসচিব এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ শাহজাহান মানসুর, হুমায়ুন খান, মোঃ আব্দুল হান্নান, মীর সামছুল আলম লিপ্টন, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম সরকার, এ্যাড. সেকেন্দার আলী সেরনিয়াবাদ, এ্যাড. আবু ওহাব, এ্যাড. আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ডাঃ সেলিমা খান, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা মুহিত হাওলাদার, আলমগলি হোসেন, রমজান আলী ভূঁইয়া, একেএম নুরুজ্জামান জামান, নজরুল ইসলাম সরদার, শরিফুল ইসলাম শরিফ, তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, মোতাহার হোসেন শাহীন, মেহেদী হাসান শিপন, মীর নাদিম মোঃ ডাবলু, জাকির হোসেন, নিজাম উদ্দিন, পারভেজ সাজ্জাদ, আল আমিন সরকার, রিয়াজ আহমেদ, মোঃ মাহমুদুল হক মনি। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নেতাদের মধ্যে ওমর ফারুক সুজন, ফজলুল হক বাবু, রাজু আহমেদ, রিয়াজ মেহেদী, তামান্না চৌধুরী, ফারুক হোসেন, প্রতিক্ষা, ফয়েজ আহমেদ, । জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান রেজা।

👁️ 5 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *