রানীনগরে মা-বাবা হারানো শিশুকে পুনরায় ইউএনও’র কাছে হস্তান্তর

সারাদেশ

রাণীনগর নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরের মা-বাবা হারানো ১০বছরের শিশু রফিকুল ইসলামের দেখভাল করার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন গোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়ে শিশু রফিকুলকে নির্বাহীর কর্মকর্তা আল মামুনের কাছে হস্তান্তর করেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, কালিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। শিশু রফিকুল ইসলাম উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাদেশ মন্ডলের ছোট ছেলে। সে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। রফিকুলের বড় ভাই একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। সে নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম খায়। বাউন্ডুলে স্বভাবের ছেলে রফিকুলকে বিভিন্ন দোকানে কাজ করার জন্য রাখলে সে থাকে না। রফিকুল মাঝে মধ্যেই হারিয়ে যায়। একসময় রফিকুলকে তার ভাই ও ভাবীরা অজানার উদ্দ্যেশে ট্রেনে তুলে দেয়। এরপর সম্প্রতি রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর রেলওয়ে স্টেশনে শিশু রফিকুলকে পাওয়া যায়। সেখানকার স্থানীয় সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সংসদের আহবায়ক এসএম হেলাল খন্দকার শিশুটিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান। পরে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন।

গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন অসহায় শিশু রফিকুলকে রাণীনগরে নিয়ে আসলে শিশু রফিকুলের দেখভাল করার দায়িত্ব আমি গ্রহণ করি। তাকে আমার বাসায় রাখি। এর কিছুদিন পরে একদিন বাসা থেকে কাউকে কোন কিছু না বলে ও কোন কাপড় না নিয়েই রফিকুল আবার হারিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর রফিকুলকে না পেয়ে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। অনেক সন্ধানের পর রফিকুলকে গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের শখিপুর থেকে উদ্ধার করি। শিশুটি চরম বাউন্ডুলে স্বভাবের। আমার পক্ষে আর শিশুটির দেখভাল করা সম্ভব নয়। তাই বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই রফিকুলকে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন জানান, শিশু রফিকুলের ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে কোন শিশু সদনে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।