কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের বঙ্গবন্ধুর ১০১ তম জন্মদিন উদযাপন

আন্তর্জাতিক এইমাত্র জাতীয়

আজকের দেশ ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারীর জন্য কানাডিয় স্বাস্থ্যবিধি কে সম্মান জানিয়ে কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ভার্চুয়াল বঙ্গবন্ধুর ১০১ তম জন্মদিন পালন করে ১৭ই জানুয়ারী। কর্মদিবস স্বত্তেও রাত দশটা ত্রিশ থেকে একটা ত্রিশ পর্যন্ত আন্তর্জালিক এই বিনম্র আয়োজনের শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা শান্তা সভাপতি জনাব আমিন মিয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার প্রস্তাব রাখেন। সংগঠনের সভাপতি আমিন মিয়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথিবর্গ কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আসাদ চৌধুরী, শিক্ষাবির ও কলামিস্ট ড. মোজাম্মেল খান, ড. আব্দুল আওয়াল, ড. জাফর সেলিম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক গোলাম মোস্তফাকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ফারহানা শান্তা ও হিমাদ্রী রয় কে আহবান করেন।


বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টায় তাঁর মূল্যবান সময়ের সাথে যুক্ত হয়ে কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রকাশ করেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর যাপিত জীবন ও কীর্তি নিয়ে আলোচনা করেন। কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনারের পাশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ অতিথি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান যিনি ইতিমধ্যে তাঁর বিনয়ী ব্যাক্তিত্বের জন্য অভিবাসী বাঙালির কাছে নন্দিত হয়েছেন, অটোয়া থেকে যুক্ত হয়ে কানাডাবাসী সকল বাংলাদেশীদের জন্য দুতাবাসের দ্রুত সেবা প্রদানের নিশ্চিয়তা দেন। ড. মোজাম্মেল খান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমীপে হাইকমিশনারের ভূয়সী প্রসংশা করে বঙ্গবন্ধুর উপর তাঁর নিজের স্মৃতিচারণ করেন। উল্লেখ্য একাত্তরের উত্তাল মার্চে তিনি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়াতে বঙ্গবন্ধুকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে।

ঢাকা থেকে যুক্ত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর তথ্যবহুল বক্তব্য ঋদ্ধ করে সবাইকে। বরাবরের মতই অব্যক্ত অনেক ইতিহাস তুলে ধরেন বিশেষ অতিথি, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের অভিভাবক একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আসাদ চৌধুরী। রাজনৈতিক ভাবে কবির পিতার সাথে বঙ্গবন্ধুর সখ্য এবং কবি নিজের স্মৃতি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। ক্যালগেরী থেকে যুক্ত হয়ে আলবার্টা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. জাফর সেলিমও মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

অতিথিদের বক্তব্যের মাঝে মাঝে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকেও এগিয়ে নিয়ে যান সঞ্চালক হিমাদ্রী রয় এবং ফারহানা শান্তা। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরপরই ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত রূপঙ্কর বাগচীর সাথে ফারহানা শান্তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি গানের ভিডিও দেখানো হয়। সঞ্চালক, লেখক হিমাদ্রী রয়ের লেখা বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত করা কবিতা আবৃত্তি করেন মানবী মৃধা, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্মসাধারন সম্পাদক নুসরাত জাহান শাঁওলী এবং জনপ্রিয় আবৃত্তি শিল্পী এবং সংগঠনের অন্যতম সদস্যা আসমা হক আবৃত্তি করে শোনান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজের প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান জনপ্রিয় ক্বণনের সভাপতি লেখিকা তাসরিনা শিখা। সংগঠনের সহ-সভাপতি আফিয়া বেগমের আবৃত্তির ভিডিও প্রচার করা হয় এবং নিজে যুক্ত ছিলেন শহরের বাইরে থেকে।

প্রায় তিনঘন্টাব্যাপি এই অনুঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইলিয়াস মিয়া, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল কাদের মিলু, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ঢাকা থেকে ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হান্নানা বেগম, কানাডা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা আকতার জানু সহ সকল সম্মানিত বক্তা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতি-শ্রুতি-ও ইতিহাস থেকে তাঁদের ভালবাসার শব্দমালায় প্রাণবন্ত করে রাখেন দীর্ঘ অনুষ্ঠানকে।

ড. বাদল ঘোষের স্বরচিত কবিতার শেষে সঞ্চালক ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা শান্তা উপস্থিত থাকার জন্য সকল অতিথিদের আবারো কৃতজ্ঞতা জানান এবং সঞ্চালক হিমাদ্রী রয় তার বিনম্র কিছু কথা দিয়ে সভার সভাপতি আমিন মিয়াকে অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আমিন মিয়া অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এই বিনম্র আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ মনির বাবু।