লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাংবাদিক এলার্জি

সারাদেশ

সাংবাদিক এস এম মিলনের তিক্ত অভিজ্ঞতা

 

নড়াইল (মির্জাপুর) থেকে সৈয়দ রমজান হোসেন : মোবাইল কোর্ট এর ছবি তুলতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীন সিটিজি টিভিতে ফোন করে জানতে চান এস এম মিলন সাংবাদিক কি না? অথচ সাংবাদিক এস এম মিলন সিটিজি ক্রাইম টিভির লোহাগড়া প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতো দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার এহেন আচরণে গোটা সাংবাদিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সাংবাদিক এস এম মিলনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আজকের দেশ এ হুবুহু তুলে ধরা হলো : লোহাগাড়া আমি এসএম মিলন, সিটিজি ক্রাইমটিভির লোহাগড়া প্রতিনিধি হিসাবে দির্ঘদিন সাংবাদিকতা করে যাচ্ছি।
গতকাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ছবি তুলতে গেলে আমি সাংবাদিক কিনা সেটা সঠিক যাচাই করতে মারুফ সামদানিকে কল দিয়ে শুনবেন বলে জানান লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভিন। তখন আমাকে ছবি তুলতে নিষেধ করে এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

গতকাল ১৭/৪/২১ লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও রোসলিনা পারভিন, মোবাইল র্কোট করতে ছিলেন লোহাগড়া গোরস্থান মজজিদ এর সামনে, অতঃপর আমি সেখানে দাড়িয়ে ছিলাম ইউএনও রোসলিনা পারভিন আমাকে বললো আপনি এখানে কেন, জবাবে আমি বললাম আমি সিটিজি ক্রাইম টিভির ষ্টাফ রিপোর্টার তিনি তখন বলেন আমি তাহলে মারুফ সাহেবকে কল করবো, আমি বললাম মারুফ যদি বলে তাহলে আমি সাংবাদিক? নাহলে নয়? তো ঠিক আছে ফোন করেন, এর পর আমি ওখান থেকে যখন জরিমানা করার ফুটেজ নিতে চাচ্ছিলাম তখন তিনি বলেন আপনি ছবি নিয়েন না, আমাকে ফুটেজ নিতে দেন নি।

অতপর আমি মারুফ কে মুঠোফোনে কল করি তিনি তখন ফোন রিসিভ করে নাই, আজ ১৮/০৪/২১ ইং আবার মারুফ সামদানিকে ফোন করি এবং ওনার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয় বিষয়টি নিয়ে আমি ওনাকে বলি জবাবে তিনি বলেন ইউএনও সাহেব বেশ কাজের মানুষ তো তাই কি বলতে গিয়ে কি বলছে হয়তো। এরপর তিনি একটু বিজি আছে বলে আমাকে কোন সঠিক জবাব না দিয়ে ফোন রেখে দেন।
কোন ক্ষমতা বলে মারুফ সাহেব আমায় সার্টিফিকেট দিবেন সেটা সচেতন মহলের কাছে জানতে চাই, কারন আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য বলে এটা করা হল কিনা সেটাই এখন ভাবার বিষয়।।