অপহৃত (!) সংসার বিবাগীকে ঘরে ফিরিয়ে আনলো পুলিশ

অপরাধ

বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কাজ কর‌ছে জনগণ ও পু‌লি‌শের মা‌ঝে সেতুবন্ধন হি‌সে‌বে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভদ্রলোকের নাম আফজাল হোসেন (কল্পিত)। পড়াশোনা শেষ করে তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি করেছেন নামী একটি ব্যাংকেও। চাকরি বাকরি ভাল লাগে না। তাই, ছেড়েছেন সব চাকরি। ছেড়েছেন ব্যাংকও। এক সময় খেয়াল করলেন ভাল লাগছে না পরিবারও। থাক‌তেন ঢাকার মিরপু‌রে।


বিজ্ঞাপন

স্ত্রীর নাম তমালিকা (কল্পিত)। তমালিকার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে একদিন কিছু কেনাকাটার নাম করে বের হলেন আফজাল সাহেব। সাথে ছিল তার জমানো আরো কিছু টাকা। বেরিয়ে পড়লেন ঘর ছেড়ে। তমালিকা বসে থাকলেন তার আশায়। স্বামী কেনাকাটা করে ফিরবেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। সন্ধ্যা হয় ভোর। মাঝে বিনিদ্র রাত কাটে তার। স্বামী ফেরেন না। তমালিকা হন্যে হয়ে এখানে সেখানে খোঁজ করতে লাগলেন। ভাবলেন অপহৃত হয়েছেন তার স্বামী। গেলেন থানায়। অপহরনের অভিযোগ হলো।

পুলিশ তৎপর হলো তার স্বামীকে খুঁজতে। আফজাল সাহেবের মোবাইল ফোন শুরু থেকেই বন্ধ। কালেভদ্রে মোবাইলটা খোলা পাওয়া যায়। প্রাসঙ্গিক আরো কিছু তথ্যসূত্র ধরে ছুটলো পুলিশ। ঢাকার বাই‌রে বি‌ভিন্ন স্থা‌নে অবস্থান দেখায় তার। সম্ভাব্য ক‌য়েক‌টি স্থা‌নে গি‌য়ে পাওয়া গে‌লো না তা‌কে। ত‌বে, লে‌গে থাক‌লো পু‌লিশ। অব‌শে‌ষে একদিন তা‌কে খুঁঁ‌জে পে‌লো।

ঢাকার আশু‌লিয়ায় একটি বাসা ভাড়া করেছেন তিনি। বাজারে মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন। মাছ বিক্রি করে একাকী সংসারের খরচ যোগাচ্ছেন। কিনেছেন রিক্সাও। সেখান থেকেও আসছে কিছু আয়। সেই দিয়েই চলে যাচ্ছে তার একার সংসার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই স্বীকার করলেন তিনি। স্বীকার করলেন এমনটি করা তার ঠিক হয়নি।

স্বামীকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তমালিকা।
মিরপুর থানা পুলিশ ও ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের দক্ষতায় এভা‌বেই জট খুললো একটি অপহরন মামলার। ‌বে‌রি‌য়ে এল সংসার বিবাগী এক ব্য‌ক্তির অপহরন নাট‌কের একটি অদ্ভুত গল্প।