মর্গ থেকে রিফাতের শ্বশুরকে বের করে দিল বন্ধুরা

অন্যান্য অপরাধ এইমাত্র জীবন-যাপন বরিশাল সারাদেশ স্বাস্থ্য

আজকের দেশ রিপোর্ট : বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার স্বামী শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফের (২৫) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়ের জামাইয়ের মরদেহ আনতে মর্গে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন নিহত রিফাতের শ্বশুর মোজ্জাম্মেল হোসেন। এ সময় মোজ্জাম্মেল হোসেনকে হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করে দেন রিফাতের বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রিফাত শরীফের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪০মিনিট পর্যন্ত রিফাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক জামিল হোসেনের নেতৃত্বে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক চিকিৎসক মাইদুল হোসেন ও ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক চিকিৎসক তন্নী নিহত রিফাতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের মর্গের সামনে আসেন রিফাতের শ্বশুর মোজ্জাম্মেল হোসেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন। কয়েকজন সাংবাদিক তার কাছে জামাই রিফাত হত্যার কারণ জানতে চান। তখন তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান এটি নারীঘটিত ঘটনা হলেও আমার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের কোনো পরিচয় ছিল না। আমার মেয়েকে খুনিরা উত্ত্যক্ত করতো। জামাই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল বলেই তাকে খুন করা হয়েছে। এ সময় রিফাতের কয়েকজন বন্ধু মোজ্জাম্মেল হোসেনের ওপর চড়াও হন। সেই সঙ্গে মোজ্জাম্মেল হোসেনকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন রিফাতের বন্ধুরা। এ সময় রিফাতের কয়েকজন বন্ধু মোজ্জাম্মেল হোসেনের দিতে তেড়ে যান।
এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে নিহত রিফাতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মঞ্জুরুল আলম জন, বিল্লাল হোসেন, নাজমুলসহ কয়েজনজন জানান, মিন্নির বাবা সাংবাদিকদের মিথ্যা বলছেন। তার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের পরিচয় ছিল। বিষয়টি আমরা আগে থেকেই জানতাম। নয়নের সঙ্গে মিন্নির আগে থেকে সম্পর্ক আছে, সেটিও আড়াল করেছেন মিন্নির বাবা। এসব বিষয় তদন্ত করলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। মিন্নির বাবা সবই জানেন এবং মিন্নিও অনেক বিষয় জানেন।
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক জামিল হোসেন বলেন, রিফাত শরীফের শরীরে মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। তার গলায়, মাথায়, বুকের ওপর তিনটি বড় ক্ষত রয়েছে। তার গলার রগ কেটে গেছে। গলার রগ কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভারী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করা হয়েছে। তার ডান হাত এবং বাম হাতে দুটি বড় ক্ষত রয়েছে। রিফাতের শরীরে সাত থেকে আটটি বড় আঘাত রয়েছে। যেসব আঘাতে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ক্ষত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে রিফাত মারা যায়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *