বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

সারাদেশ স্বাস্থ্য

নইন আবু নাঈম,বাগেরহাট : বাগেরহাটে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমিত রোগী। প্রতিদিনই নতুন করে শনাক্তের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিশশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যে বিভাগকে।গত এক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার গড়ে একশোর উপরে রয়েছে।রবিবার দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন।সংকট পূরণে খুলনা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্স।এরপরেও থামছেনা রোগী ও স্বজনদের হাহাকার। সংকটের মধ্যে রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এমন দাবি করেছেন সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।
করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ২০২০ সালের দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়।রোগীদের সেবা দিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়।স্থাপন করা হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট।হাসপাতালে তিনটি আইসিউ শয্যা থাকলেও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে এই হাসপাতালে এখনও আইসিউ সুবিধা চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা রোগী ও রোগের লক্ষন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী বেড়েছে।৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী রয়েছে।এসব রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে খুলনা থেকে ৬ জন নার্স এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে অতিরিক্ত চারজন চিকিৎসক এনেছি। তারা সেবা দিচ্ছেন।তারপরও আমরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
এ দিকে গেল ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।জেলায় করোনা সংক্রামণ হার ৪৬ শতাংশ হলেও সদর উপজেলায় এই হার ৫৪ শতাংশ।এই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৭১৯ জন। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ হাজার ৫৪ জন।


বিজ্ঞাপন