মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এখন তত্ত্বাধায়ক ডাঃ মোহসিন উদ্দিন ফকিরের নিয়োগকৃত বহিরাগত স্বেচ্ছাসেবকদের দখলে!

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত কর্পোরেট সংবাদ গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ স্বাস্থ্য

মাগুরা প্রতিনিধি :  বাংলাদেশের কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান বহিরাগত জনবল দ্বারা পরিচালিত না হলেও মাগুরা ২৫০ বেড হাসপাতালটি চলছে স্বেচ্ছাসেবক নামক বহিরাগত জনবল দ্বারা। বেআইনিভাবে এই সব স্বেচ্ছাসেবকদের আইডি কার্ড ( পরিচয়পত্র) প্রদান করেছেন এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহসিন উদ্দিন ফকির। আইডি কার্ডে তার স্বাক্ষর রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

আর এই বেআইনি আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কমপক্ষে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নার্স,আয়া বা ওয়ার্ব বয়দের মত ডিউটি করছে। রোগিদের ওষুধ চুরি করছে। বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী পাচার করছে। ভর্তি থাকা রোগীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন কি তারা অপারেশন থিয়েটারেও ডিউটি করছে। অপারেশন করে দেবার চুক্তিতে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । সরকারি ফাইলপত্র নাড়াচাড়া করছে। এক কথায় এই স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতালটিতে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

আরো শোনা যায়, এই ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দানের শর্তে তাদের কাছ থেকে ওয়ার্ড মাষ্টার নুর আলম ও সদ্য বদলী হওয়া কর্মচারি আফজালের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকার অংক জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ বলে হাসপাতালে গুঞ্জন চলছে।


বিজ্ঞাপন

একাধিক সুত্র জানায়, এইসব স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ হিসাবে দাবী করছে। দিন ও রাতে দুই শিফটে তারা ডিউটি রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করছে।


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এলাধিক উর্ধ্বোতন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জানান যে, সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক নামের জনবল ব্যবহারের সুযোগ নেই। সরকারি বিধান না থাকলেও মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে কিভাবে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার কোন জবাব মিলছে না। বিষয়টিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর পদক্ষেপ কামনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।

👁️ 51 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *